parbattanews

বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকেই রোহিঙ্গারা সেজদায় পড়ে বলছে ‘অ-আল্লাহ আঁরারে আশ্রয় দে’

tek-pic-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মুসলমানদের উপর অব্যাহত নির্যাতন ও হত্যা থেকে কোনরকম বউ বাচ্চা ও পরিবারের লোকজনকে নিয়ে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের পাড়ে এসেই আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করার জন্য নামাজ আদায় করেন নির্যাতিত কতক মুসলিম রোহিঙ্গা। তারা আল্লাহর দরবারে মোনাজাতের মাধ্যমে মুসলিম হত্যার বিচার ও অব্যাহত নির্যাতন বন্ধেরও আকুতি জানান।

রবিবার টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাবিল নাফ নদীর তীরে হওছের দ্বীপে নামাজ রত অবস্থায় এ দৃশ্য অবলোকন করা হয়।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জবর মুল্লুক জানান, তার সামনেই চাচা মোতালিবকে হত্যা করে সেখানকার সেনাবাহিনী। তিনি কোনরকম আল্লাহ আকবর বলে বলে গোপনে রাতের আঁধারে অনেক কষ্ট করে বাংলাদেশে চলে আসেন। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘মুই বর্মার তো বহুত হষ্ট গরি আইয়্যমর। এহন বিডিয়ারে ধরিপেলিব, আঁরার হন উপায় নাই। অ আল্লাহ আঁরারে আশ্রয় দে। গতহালিয়া অইতে এহনো কিছু ন হাই।’ এভাবে বলে বলে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন এই বৃদ্ধ লোকটি।

এভাবে হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম আজ সামান্য আশ্রয়ের খোঁজে দিকবিদিক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমারে ‘কোনো সুদর্শন মেয়ে দেখা মাত্রই তারা ঘরে ঢুকে তাদেরকে ধর্ষণ করে।’ এরপর তাদের একের পর এক হত্যা করছে।

এদিকে টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা রাতের আদারে নাফ নদী ও তৎসংলগ্ন কিছু পয়েন্ট দিয়ে নৌকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজিবি সদস্যরা তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিয়েছে অনেকবার।

তিনি বলেন, ‘এর আগেও আমরা এখানে আসা অনেক রোহিঙ্গাকে ওষুধ, খাবারসহ মানবিক সহায়তা দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছি।’

Exit mobile version