বাইশারী ও রামুর গর্জনিয়া সংযোগ সড়ক সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন

fec-image

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ও রামুর গর্জনিয়া সংযোগ সড়ক সংস্কারের দাবীতে সড়কের গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি বাজার সহ কয়েক স্থানে মানববন্ধন করেছে কলেজ, ভার্সিটি ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। সাথে যোগ দেন এলাকাবাসীও।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় এ মানববন্ধনে শতশত ভূক্তভোগী অংশ নেন নানা পোস্টার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে। বড়বিল থেকে বটতলী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কে বেশ কয়েকটি স্থানে মানববন্ধন করেন এ শির্ক্ষার্থীরা। সড়কটির নানা স্থানে কয়েকশত পুকুর সম গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়ার পথে অবশিষ্ট গাড়িও। ৩০০ (তিনশত) টমটম, মটর সাইকেল ও রিক্সা চালক এখন বেকার।

বেলা সাড়ে ৩টায় মানববন্ধন শেষে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রবিউল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শির্ক্ষাথী মুনিরুল আলম, লুকমান হাকিম, এডভোকেট আনোয়ারুল হাকিম আরাফাত, এলাকার মেম্বার কবির আহমদ, সর্দার মো: আলী সওদাগর, সেলিম উল্লাহ কালু প্রমুখ।

বক্তারা এ সময় বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীর ৭০ হাজার মানুষ এখন ডাকাত ও পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি। ইদগড়-ইদগাঁও সড়কে অপহরণ বানিজ্য পূনরায় শুরু হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সে কারণে বাইশারীর মানুষ গর্জানয়ার সড়কটি ব্যবহার করে আসছেন। আর উপজেলায় যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু এ সড়কটির অভিভাবক নেই। গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম থাকেন চট্টগ্রাম। আসেন তার সময় মতো। কিন্তু সড়কটিতে পুকুরসম কয়েকশত গর্ত। গত ২ মাস ধরে এ সড়কে টমটম, রিক্সা ও ছোট আকারের গাড়ি চলাচল বন্ধ। এসব কারণে আজ শিক্ষার্থীরা পথে পথে মানববন্ধন করতে বাধ্য হলো। তারা আরও বলেন, থিমছড়ি বাজার ও শাহ মোহাম্মদ পাড়া ও পূবজুমছড়ি সহ বেশকয়েকটি স্থানে মানববন্ধন করেছে একই সময়।

তাদের অভিযোগ, জাতির উন্নতির সিড়ি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় যেতে পারছে না। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের যাতায়াত। এ কারণে শিক্ষার্থীরা আজ পথে নেমেছে। তারা ১ মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে। অন্যথায় কর্মসূচি দিয়ে প্রথমেই এলাকার সাংসদ উন্নয়নের রূপকার সাইমুম সরওয়ার কমলের কাছে যাবেন তারা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মানববন্ধন, সংযোগ সড়ক, সংস্কারের দাবীতে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন