parbattanews

বাইশারী-গর্জনিয়া সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে জনগণ

বাইশারী প্রতিনিধি:

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কিছু অংশ ও কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে যাওয়া পুরো সড়কটির এখন বেহাল দশা। সড়কটি এখন দেখলে মনে হবে যেন পাহাড়ি ছড়া। ফলে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।

সম্প্রতি টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়কটির অধিকাংশ স্থানে খানা-খন্দসহ পাহাড়ি ছড়ায় পরিণত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ। চরম দুর্ভোগে লাখো মানুষ। বর্তমানে জনসাধারণের পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই। রোগীরা পড়েছে চরম বিপাকে।

সরজমিনে সড়কটির বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনে গিয়ে এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বাইশারী ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের লাখো মানুষের জন্য সহজে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাসহ জেলা সদরে যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম বাইশারী-গর্জনিয়ার এই সড়কটি। দীর্ঘ ১৪ কি.মি. সড়কটি ব্রিক সলিং দিয়ে তৈরি। তাও আবার দীর্ঘ ১৩ বৎসর আগের। সড়কটি ইটি দিয়ে তৈরী করা হলেও দীর্ঘ বছর যাবত কোন ধরনের সংস্কার/মেরামত করা হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান।

গর্জনিয়া ও বাইশারী ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সড়কটি দিয়ে দৈনিক হাজারো মানুষ এবং শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কটির মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে যথাক্রমে শাহ্ মোহাম্মদের পাড়া, থিমছড়ি, থোয়াঙ্গাকাটা, দক্ষিণ বড়বিল ও উত্তর বড়বিল নামক এলাকায় পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে খানা-খন্দসহ পাহাড়ি ছড়ায় পরিণত হয়েছে। যার ফলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সরজমিনে আরও দেখা যায়, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা সড়কের বড়বিল ইস্কান্দর বাড়ির পাশের জায়গায় পাহাড়ি ঢলে রাস্তা ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এখন সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

বাইশারী-গর্জনিয়া সড়কের সিএনজি, অটোরিক্সা সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানান, সড়কের বিভিন্ন অংশে পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে যাওয়ায় আজ তিনদিন যাবত গাড়ি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছেন।

গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জব্বার জানান, বড়বিল এলাকায় ইস্কান্দর নামে জনৈক ব্যক্তি কালভার্টটি বন্ধ করে দেওয়ায় পার্শ্ববর্তী জায়গা ভেঙ্গে পাহাড়ি ছড়ায় পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি টানা বর্ষণ পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে যাওয়া সড়কের বিভিন্ন অংশে খানা-খন্দগুলো সরজমিনে পরিদর্শণ করেছেন। অচিরেই সমস্ত খানা-খন্দগুলো মেরামত করে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করা হবে।

Exit mobile version