parbattanews

বাইশারী-হলুদ্যাশিয়া-করলিয়ামুরা সড়ক এখন মৃত্যুকূপ ও চাষাবাদের জমি

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের করলিয়ামুরা-হলুদ্যাশিয়া-বাইশারী বাজার সড়ক এখন আর সড়ক নেই। এই সড়কটি এখন মৃত্যুকূপ ও চাষাবাদের জমিতে পরিণত হয়েছে। অন্তত বিশটি গ্রামের দশ হাজার লোক এখন চরম ভোগান্তিতে।

গাড়ি চলাচলতো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়া এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল হোসেন। কুমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামশুল আলম ফকির জানান, বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে করলিয়ামুরা গ্রামের কুমপাড়া নামক স্থানে কালভার্ট ব্রিজটি পানিতে উল্টে গিয়ে এখন উক্ত স্থান পুকুর ও মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে গাড়ি যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগের আর শেষ নাই।

বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র আনোয়ার হোসেন বলেন, জনসাধারণ অতিষ্ট হয়ে হলুদ্যাশিয়া মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার উপর এখন বাঁশ ও ধানের চারা লাগিয়েছেন। অথচ জায়গাটির ২০ গজের মধ্যে দুইজন জনপ্রতিনিধির বসতবাড়ি রয়েছে। জনগনের এই কষ্টে জনপ্রতিনিধিরা কোন প্রকার এগিয়ে না এসে উল্টো জনসাধারনের কষ্ট দেখে মিটমিট করে হাসে।

তবে ইউপি মেম্বার আনোয়ার ছাদেক বলেন, তার এলাকায় ৪ নং ওয়ার্ড করলিয়ামুরা গ্রামের একটি কালভার্ট ব্রিজ পানিতে উল্টে যাওয়ার পরপরই ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছেন।

৪,৫,৬নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা সেলিনা আক্তার বেবি বলেন, আমার করার কি আছে এখানে। রাস্তা নষ্ট হয়েছে সরকার বুঝবে। বাজেট পাইলে করব, আর না পাইলে নাই। ভোট দিয়েছে জনগণ মেম্বার হয়েছি। আবার দিলে হব, না দিলে নাই। নিজের টাকা দিয়ে করব নাকি?

সরজমিনে দেখা যায়, বাইশারী বাজার থেকে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার সড়কটি অধিকাংশ জায়গায় ইট বিছানো রয়েছে। হলুদ্যাশিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন জায়গাও ইট ছিল। তবে এসব ইটগুলো গেল কোথায়-এ প্রশ্ন জনসাধারণের। উক্ত স্থানে বন্যায় পানিও উঠে না, অনেক উঁচু জায়গা তারপরও কেন এ দুরাবস্থা? এ প্রশ্ন শত শত জনসাধারণের।

উক্ত সড়ক দিয়ে শুকনো মৌসুম ও বর্ষা মৌসুমে রাতদিন গাড়ি চলাচল করে থাকে। এমনকি উক্ত সড়ক দিয়ে রাত নামলেই বাস পর্যন্ত চলাচল করে। কারণ উক্ত সড়কটি বিকল্প সড়ক হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে। রাতে বাইশারী-ঈদগড় সড়ক ডাকাত আতঙ্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় কররিয়ামুরা সড়কটি একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা।

তবে সড়কটির কুমপাড়া নামক স্থানে কালভার্ট ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমানে গাড়ি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে গত দুই মাস যাবত। যার ফলে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী ও জনগণের দুঃখের সীমা নাই।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন, অচিরেই কালভার্ট ব্রিজটি হয়ে যাবে এবং বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে তিনি অবহিত করেছেন।

Exit mobile version