বাঘাইছড়িতে অবৈধ সিগারেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সর্তকবার্তা
বাঘাইছড়ি উপজেলাতে বার্মিজ সিগারেটে রমরমা ব্যবসা ও দেশীয় সিগারেটের কোম্পানিগুলো বিলুপ্তির পথে। জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা বরকল টেগামূখ দোসর বাজার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করছে বার্মিজ সিগারেট।
২৫ জুলাই সকাল ১১ ঘটিকার উপজেলার সদর বাবুপাড়া, জীবতলী, বাঘাইছড়ি এলাকায় ব্যবসায়ীকে সর্তক করে দেওয়া হয়। কোটি টাকার এসব অবৈধ বার্মিজ সিগারেটগুলো নিম্নমানের সিগারেট। এগুলো দিয়ে ধূমপান করে ধূমপায়ীদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এসব অবৈধ সিগারেট প্রবেশের কারণে ব্যাপক হারে ক্ষতির শিকার হচ্ছে দেশীয় সিগারেটের কোম্পানিগুলো। অবৈধ বার্মিজ সিগারেট প্রবেশের কারণে কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় সিগারেট ব্যবসায়ীরা।
২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সরকার ২০ শলাকার ১ প্যাকেট সিগারেটের মূল্য নির্ধারণ করেছেন ৭৪ টাকা আর এই ৭৪ টাকার সিগারেটের ভ্যাট ৭৫ শতাংশ হারে প্রতি প্যাকেট সরকার ভ্যাট পায় ৫৬ টাকা।
তাই এই অর্থ বছরে সিগারেটের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কম দামে নিম্নমানের সিগারেট রপ্তানি করছে মিয়ানমার থেকে। এসব সিগারেট পান করে অনেকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভুগছে।
মিয়ানমারের নিম্নমানের ২০ শলাকা ১ প্যাকেট দাম ৩৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। নিম্নমানের সিগারেট রোগবালাই সর্দি, কাশি ও যক্ষার মতো রোগে ভুগছে ভোক্তারা। মিয়ানমার থেকে আসছে বিভিন্ন নামের সিগারেটগুলো সীমান্ত দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
সীমান্তবর্তী উপজেলার বাজারগুলোতে কম দামে বিক্রি হচ্ছে এসব অবৈধ মিয়ানমারের সিগারেট। আবার অনেক ধূমপায়ী বলছে এই সিগারেটে কমবেশি নেশা মিশ্রিত আছে, যার কারণে গাঁজা যারা সেবন করে তাদের কাছে এই সিগারেট বেশি প্রিয় বলে জানান।
ভোক্তা কুসুম চাকমা বলেন, আমিও প্রথমে দাম কম দেখে কয়েক প্যাকেট ক্রয় করেছি। পরে দেখি বার্মিজ সিগারেট খেলে গলায় খুশ খুশ কাশি সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে আমি আর বার্মিজ সিগারেট ধুমপান করি না ।
উপজেলাতে প্রতিমাসে ১ কোটি ৫০ লক্ষ শলাকা অনুযায়ী সরকার ভ্যাট পেত ৪ কোটি ৫ ০ লক্ষ টাকা কিন্তু দেখা গেছে গত মাসে এসব অঞ্চল থেকে সরকার দেশীয় সিগারেটের ওপর ভ্যাট পেয়েছে মাত্র ৮৪ লক্ষ টাকা।
বাঘাইছড়িতে গত মাসে সেলস ছিল ৩০ লক্ষ শলাকা এখন নেমে এসেছে ১০ লক্ষ শলাকায়। সে হিসাবে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রতি মাসে ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার মত।
এ ব্যাপরে বাঘাইছড়ি থানার ওসি তদন্ত মো জাহাঙ্গীর আলম সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা দ্রুত অভিযান চালাবো যদি কারো কাছে অবৈধ সিগারেট পাওয়া যায় আমরা থাকে আইনের আনবো।