parbattanews

বাঘাইছড়িতে আ.লীগের ২ নেতাকে অপহরণের পর মুক্তি

অপহরণ

স্টাফ রিপোর্টার:

রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে অপহরণের পর মুক্তি দিলো দুর্বৃত্তরা। অপহৃতরা হলো, সুকান্ত চাকমা ও প্রজ্ঞান চাকমা। রোববার বিকালে বাঘাইছড়ি উপজেলার তুলাবান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।

বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. আলী হোসেন বলেন, রোববার বিকালে বাঘাইছড়ি উপজেলার তুলাবান এলাকায় থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সুকান্ত চাকমা ও প্রজ্ঞান চাকমাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে বেশ কয়েক ঘটনা পর আবার মুক্তি দেয়।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য এ দু’নেতাকে তুলে নিয়ে গেছে। ৩৩নং মারিশ্যা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুমন চাকমার পক্ষে প্রস্তাবকারি ও সমর্থনকারি হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলেন তারা। তাই স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদের তুলে নিয়ে যায়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জমির হোসেন ও সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন মামুন জানান, দলীয় মনোনীত প্রার্থী সুমন চাকমার প্রস্তাবকারি সুকান্ত চাকমা ও সমর্থনকারি প্রজ্ঞান চাকমাকে বেশ কয়েক দিন ধরে স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা যেনো কোনভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা না শুনে আওয়ামী লীগের পক্ষে সুকান্ত ও প্রজ্ঞান নির্বাচনে প্রস্তাবকারী ও সমর্থণকারী হিসেবে স্বাক্ষর করে। তাই সন্ত্রাসীরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত মারিশ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সুমন চাকমা জানান, জেএসএস গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমার সমর্থনকারী সুকান্ত চাকমা, ও প্রস্তাবকারী প্রজ্ঞান চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বেশ কয়েক ঘন্টাপর ছেড়ে দিয়েছে । তাদের কে ভয় দেখানো হয়। যাতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানায় দলীয়ভাবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মুখপাত্র সজিব চাকমা। তিনি বলেন, জেএসএস গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।

Exit mobile version