বাঘাইছড়িতে গুলির ঘটনায় জেএসএস সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সদরে বিজিবি গেটে পাশে গুলি ঘটনায় জনসংহতি সমিতির (সন্তু লারমা) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে ১০ দিন পর মামলা করা হয়েছে। রোববার রাতে গুলি ঘটনার আহত আবদুর রশিদ এ মামলা করেন বলে জানা গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ অক্টোবর রাত আটার দিকে গুলিতে আহত আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে মামলা করেন। এতে পার্বত্য জনসংহতি সমিতি(সন্তু) বাঘাইছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক বড়ঋষি চাকমাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর মধ্যে অস্ত্রধারীদের সহায়তাকারী হিসেবে চার বাঙালিকেও মামলার আসামি করা হয়। এরা হলেন মো. আমিনুল ইসলাম, মো. রফিক, মো. আমির আলী ও মো. কুট্টি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোরব রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনজস অস্ত্রধারী মোটরসাইকেল যোগে উপজেলা সদরে আসে। এসময় বিজিবি গেটের পাশে জনসংহতি সিমিতি(এমএন লারমা) রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্র বিকাশ চাকমা ও মধ্যম পাড়া গ্রামের আবদুর রশিদ গল্প করছিলেন। এসময় ওই অস্ত্রধারীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করেন। এতে মো. আবদুর রশিদ গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।

জনসংহতি সমিতি(এমএন লারমা) রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক জুপিটার চাকমা বলেন, বড়ঋষি চাকমার উস্কানিতে তাঁদের নিয়ন্ত্রিত অস্ত্রধারী সদরে এসে একের পর এক গুলি করে চরে যাচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আসীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি দাবি জানান।
জনসংহতি সিমিতির (সন্তু) বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বড়ঋষি চাকমা বলেন, আমাদের রাজনৈতিভাবে হেয় করার জন্য এ মামলা করা হয়েছে। এঘটনার আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিক উল্লাহ বলেন, গুলি ঘটনায় আহত আবদুর রশিদ মামলা করেছেন। এতে পার্বত্য জনসংহতি সিমিতির (সন্তু) পক্ষের বড়ঋষি পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এছাড়া অস্ত্রধারীদের সহায়তাকারী হিসেবে চার বাঙালিকেও আসামি করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন