parbattanews

বাঘাইছড়িতে ঝর্নায় গোছল করা নিয়ে উপজাতীয় যুবকদের তুলকালাম কাণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি:

শুক্রবার সাকাল ১১ ঘটিকার সময় বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত দশ নাম্ভার বাঘাইহাট ঝর্ণায় ৩০/৪০ জন পর্যটক এবং স্থানীয় উপজাতীয় যুবক গোসল করার সময় হঠাৎ ঝর্ণার প্রায় ১০০ ফিট উপড় থেকে বিশাল এক সেগুন কাঠের টুকরো ছুড়ে মারে কিছু মাদকাসক্ত উপজাতীয় যুবক ।

ভাগ্যক্রমে গাছের বিশাল টুকরোটি পাথরের সাথে লেগে দূরে ছিটকে গিয়ে পারে বসে আড্ডারত পাঁচ পাহাড়ি যুবকের গাঁ ঘেষে পরায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এতে ঝর্ণায় অবস্থান করা সবাই আতঙ্কিত হয়ে উপড়ে উঠে আসে। উপড়ে তাকিয়ে দেখতে প্রায় ৩/৪ জন উপজাতীয় যুবক ঝর্ণার চুড়ায় দাড়িয়ে হাসছে।

তখন নিচে অবস্থান করা পাহাড়ি যুবকরা উত্তেজিত হয়ে দৌড়ে ঝর্ণার চুড়ায় গিয়ে দুই যুবককে ধরে নিচে নিয়ে আসে মারধর করতে থাকে। দুই পক্ষের মারামারিতে ঝর্ণাপাড়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে, মারামারির সংবাদ পেয়ে স্থানীয় উপজাতীয় যুবকদের ১০/১৫ জনের একটি দল ধাড়ালো দা ও লাঠিশোটা নিয়ে ঝর্ণায় আসে।

এ সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকগণ চরম নিরাপত্তাহীনতা বোধ করায় ব্যাগ, কাপড় রেখে ছুটাছুটি করতে থাকে। এসময় স্থানীয় কিছু পাহাড়ি ঝর্ণায় আটকে পরা পর্যটকদের নিরাপদে চলে যেতে বলেন। পরে সংবাদ পেয়ে বাঘাইহাট জোনের সেনাবাহিনী ও দশ নাম্বার ফাড়ির পুলিশ এসে সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নেলসন চাকমাসহ ঘটনাস্থলে ঘটনারস্থল পরিদর্শণ করে এবং পর্যটকদের উদ্ধার করেন।

নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দোষী উপজাতীয় যুবকরা পালিয়ে যায়, তাই কাউকে আটক করা যায়নি।

ঝর্ণায় অবস্থান করা এক পাহাড়ি যুবক জানায় উপড় থেকে গাছের টুকরো ফেলা যুবকদের বাড়ি দীঘিনালা উপজেলায়। তারা সবাই মাতাল অবস্থায় কাজটি করেছে। ভগবানের কৃপায় আজ তারা রক্ষা পেয়েছে বলে জানায়। তাদের এই ঘৃণিত কাজের জন্য সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় পাহাড়ি মুরুব্বীগণ দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রায় দুই ঘন্টা ঝর্ণায় দর্শনার্থী যাতায়াত বন্ধ থাকার পর পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।

Exit mobile version