parbattanews

বাঘাইছড়িতে নিখোঁজের সাত দিনেও খোঁজ মিলেনি যুবকের

ইনসেটে নিখোজ মো. জমির হোসেন

বাঘাইছড়ি উপজেলার ৪ কিলো প্রশিক্ষন টিলার বাঙালী পাড়ার আবুল কাসেমের ছেলে মো. জমির হোসেন (৩৫) গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে ইউছুফ সওদাগর কাছ থেকে কায়িক শ্রমের টাকা আনতে বাজারে গিয়েছিল। তার পর থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

তিনদিন পর মোবাইল ফোনে তার স্ত্রী সুমি আক্তারকে বলেন, তাদের তিনজনকে আটকে রাখা হয়েছে। কোথায় আটকে রাখা হয়েছে তা কিছু বলেনি। বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য বলে। ফোনে তাদের মারধর করার আর্তনাদ শুনান তার স্ত্রীকে। পরে তার স্ত্রীকে তার স্বামী পারসোনাল বিকাশে দশ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। সে তাদের কথা মত দশ হাজার টাকা বিকাশ করেন। সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে টাকা পাঠানোর পর থেকে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

স্ত্রী সুমি আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেরুং থেকে টাকা আনতে গেলে তার স্বামীর আর কোন খোঁজ পায়নি তারা। এর পর থেকে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সোমাবার সকালে হঠাৎ ফোন করে বলে বিকাশে টাকা পাঠাতে এবং তাদের মারধর করার আর্তনাদ ফোনে শুনান। পরে তার স্ত্রী বিকাশে দশ হাজার টাকা পাঠান। এর পর থেকে তার কোন খোঁজ পায়নি তার পরিবার । বর্তমানে জমিরের পরিবার আতঙ্ক উৎকণ্ঠায় দিনযাপন করছেন।

জমিরের পিতা আবুল কাসেম পার্বত্যনিউজের প্রতিবেদকের সামনে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং ছেলেকে উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।

পরে তার স্ত্রী মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে স্বামীর সন্ধান না পাওয়ায় বাঘাইছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করছেন।

এই বিষয়ে জানতে বাঘাইছড়ি থানার এসআই সাঈদ আসাদ সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার স্ত্রী থানায় এসে একটি জিডি করেছেন। এর প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত শুরু করছি। যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার চেষ্টা করছি।

Exit mobile version