রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাতে বিদ্যুৎ ঘাটতি না থাকলেও প্রতিদিন প্রায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে বাঘাইছড়িবাসীর। তাই বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় জনদূরভোগ বৃদ্ধি পাওয়ায়, নিয়মিত বিদ্যুৎ দাবিতে ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ এর সামনে বাঘাইছড়ি উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ ভুক্তভোগীদের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধন শেষে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বরাবর বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এর মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করে বাঘাইছড়ি উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বক্তারা বলেন, বাঘাইছড়ির দেড় লক্ষ জনসাধারণ মারিশ্যা বিদ্যুৎ অফিসের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীর একগুয়েমির আচরণে বাঘাইছড়িবাসী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ, দিনের ৮ থেকে ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না, আর রাতের কথা নাই বলি, আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। আকাশে মেঘ করলে লোডশেডিং, বৃষ্টির দোহায় দিয়েই বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ নেই, আবার দিনের বেলায় গাছ কাটার নাম করে বিদ্যুৎ বন্ধ, যেদিন সব কিছু ভালো থাকে সে দিন প্রতি ঘন্টায় একবার হলেও লোডশেডিং দিতে হয় কেন। এর জন্য মারিশ্যা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের কাজের অবহেলাকে দায়ী করে, মারিশ্যা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী (আর-ই)র অপসারণ দাবি করে ভুক্তভোগীরা। এর পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে। এর পরও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে না এলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবো।
মারিশ্যা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী (আর ই) সুগত চাকমা বলেন, আমরা যে পরিমান বিদ্যুৎ নিয়ে আসি মাস শেষে সে পরিমান বিদ্যুৎ বিল দিতে পারি না। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ লাইনের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টির হয়, রাতের আধারে কিছু এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন লাগিয়ে দিনের বেলায় খুলে ফেলে, নিরাপত্তার স্বার্থে এসব এলাকায় রাতে মুভমেন্ট করা সম্ভব হয় না।