parbattanews

বাঘাইছড়িতে বন্যাকবলিতদের আ’লীগ ও প্রশাসনের সহযোগিতা

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বন্যাকবলিতদের সহযোগিতায় মাঠে নেমেছে উপজেলা আ’লীগ এবং উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া বাঘাইছড়ি পৌরসভা ও ব্যক্তি উদ্যোগে বন্যাকবলিতদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।বন্যাকবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে এসব সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

টানা বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বিস্তৃর্ণ নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে গত দু’দিন ধরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় এক হাজার বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় ২০হাজার মানুষ।

তিন দিনের টানা বর্ষণের কারণে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে মাস্টার পাড়া, পুরাতন মারিশ্যা, মধ্যম পাড়া, বটতলী বাঘাইছড়ি, সারোয়াতলী গুচ্ছোগ্রাম, কলেজ পাড়া,  মুসলিম ব্লক,  হাজী পাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, খেদারমারা, আমতলী ইউনিয়ন এলাকাগুলো উজানের পানিতে ডুবে গেছে। উগলছড়ি-বটতলী সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার সকল রুটের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। এতে অর্ধশত পুকুর এবং ৬০০ একরের বেশি আমন খেত তলিয়ে যায়।

বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র জাফর আলী খান জানান,  পাহাড়ি ঢলে পৌর এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুধু  পৌর এলাকার প্রায় পাঁচশো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে এ মেয়র জানান।

মেয়র বলেন, আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে লোকজনদের সড়িয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে । ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন মালামাল নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছে বলে যোগ করেন মেয়র।

বাঘাইছড়ি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন জানান, উপজেলা আ’লীগের একটি দল বন্যাদূর্গতদের সাহায্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। এ দলে রয়েছে  উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল শুক্কুর মিয়া, সাংগঠনিক সম্পদক হাফেজ আহমেদ, অর্থ সনম্পদক সেকান্দর আলী, পৌর আলীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান এবং মহিলা কাউন্সিলর আমেনা বেগম এবং উপজেলা শ্রমিক লীগের আব্দুল জলিল।

আ’লীগের এ নেতা আরও জানান, বুধবার উপজেলা আ’লীগ ২০টি আশ্রয় কেন্দ্রের বন্যাদূর্গত এক হাজার মানুষ এবং মঙ্গলবার ৫০০ মানুষ ত্রাণ দিয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনও বন্যাদূর্গতদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে বিলাইছড়ি, বরকল, লংগদু, জুরাছড়ি উপজেলার বিস্তৃর্ণ নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। পাহাড়ি ঢলে সেখানকার ফসলী জমিসহ, ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। ফসলি জমি ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা এবং পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছে।

Exit mobile version