ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে

বাঘাইছড়িতে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

fec-image

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল এবং ছয় সাংবাদিকের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশে এই দাবি জানান তারা।

এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাবেক এমপির মেয়ের মামলা

প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাঙামাটির সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর মেয়ে নাজনীন আনোয়ারের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে এই আইন বাতিল এবং সারা দেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।

এসময় বক্তব্য রাখেন– বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, ইসলামী যুব সেনার সভাপতি মো. আব্দুল বারি প্রমুখ।

বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘সিকিউরিটি অ্যাক্ট স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে কাঁটা হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। এই আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে সমাজের প্রভাবশালীরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে।’

প্রসঙ্গত, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ডিসি বাংলো পার্ক চত্বরে অবস্থিত ‘পাইরেটস রেস্টুরেন্ট’ নিয়ে প্রতিবেদন করায় চিনুর মেয়ে নাজনীন আনোয়ারের দায়ের করা একটি মামলায় গত ৭ জুন দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পাদক ফজলে এলাহীকে গ্রেফতার করে রাঙামাটির কোতয়ালি থানা পুলিশ। পরদিন জামিনে মুক্তি পান তিনি। এই গ্রেফতারের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব থাকায় দীপ্ত টিভির বিশেষ প্রতিনিধি বায়েজিদ আহমেদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার অনির্বাণ শাহরিয়ার, এখন টিভির খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি দিদারুল আলম, জাগো নিউজের রাঙামাটি প্রতিনিধি সাইফুল হাসান, দৈনিক বণিক বার্তা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলার রাঙামাটি প্রতিনিধি প্রান্ত রনিসহ অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালে ১৪ সেপ্টেম্বর পৃথক আরেকটি মামলা করেন নাজনীন আনোয়ার। এই মামলাতেও প্রধান আসামি করা হয় সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে বাদী এবং তার মা (সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনু) সামাজিক, রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ হয়ে মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৩, ২৫, ২৬, ২৯, ৩১, ৩৪, ৩৫ ও ৩৭ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাঘাইছড়ি, মানববন্ধন, সাংবাদিক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন