আলমগীর মানিক
রাঙামাটি: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীকে গুলি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র ও যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই ঘটনায় বাঘাইছড়ি পৌর মেয়রসহ তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলা করা হয়েছে।
সন্ধ্যা সাত টায় চৌমুহনী শাপলা চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করে উপজেলা মসজিদ মার্কেট ঘুরে এসে মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়। সেখানে ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুজিত চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন দাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের নিপন দে, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ দাশ, যুবলীগের সভাপতি মো. শাহরিয়ার হোসেন, শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. রফিক আলী, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জমির উদ্দিন।
বক্তারা বলেন বুধবার ১২টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে অবস্থান কর্মসূচিসহ কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বাঘাইছড়ি পৌর মেয়রের উস্কানিতে মো. মুজিবর ও মো. রফিক সুব্রতকে হত্যার চেষ্টার করা হয়।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মে সোমবার রাত সাড়ে ১০টা দিকে চৌমুহনী মার্কেট থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক সুব্রত বড়ুয়া। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে সুব্রতকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে লক্ষ্য ভ্রস্ত হলে প্রাণে রক্ষা পান। পরে দৌড়ে গিয়ে পাশে ঢালু জায়গায় পড়ে আহত হন।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদকে দায়ী করেছে। তবে বাঙালি ছাত্র পরিষদ ঘটনা অস্বীকার করেছে। এবিষয়ে বাঘাইছড়ি পৌর মেয়রসহ জন বাঙালি ছাত্র পরিষদের কর্মী মো. রফিক ও মো. মুজিবরকে আসামি করে বাঘাইছড়ি থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, আমরা অস্ত্রের রাজনীতি করি না। বাঙালি ছাত্র পরিষদ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ঘটনার জন্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ দায়ী নয়।
আহত ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক সুব্রত বড়ুয়া অভিযোগ করেন, আমি চৌমুহনী মার্কেট থেকে ফেরার পথে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে পৌঁছার পর বিকট শব্দ শুনি। পরে টের পেয়ে দৌড়ে পাশে ঢালু স্থানে ঝাঁপ দিয়ে কোনো রকমে রা পাই। আমাকে গুলি করার পর বাঙালি ছাত্র পরিষদের কর্মী মো. রফিক ও মো. মুজিবরের গলার আওয়াজ পেয়েছি। আমাকে গুলি করার পর শালাকে ধর ধর করে ধাওয়া করেন।
বাঘাইছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল রাজ্জাক বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী ওপর হামলার সন্দেহভাজন হিসেবে মো. মুজির নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মেয়রসহ তিনজন আসামি করে থানা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র মো. আলমগীর কবির ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বলেন. এটা সাজানো নাটক, যে রফিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে সে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছে আর আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।