আলমগীর মানিক, রাঙ্গামাটি:
বাঘাইছড়ি পৌরসভার বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে দুর্ণীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছে পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলার। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক বরাবরে এক আবেদনে কাউন্সিলার গণ এই আবেদন জানান। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক বরাবরে, রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল শুক্কুর সহ ১১জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষরিত আবেদনে ৯দফা দাবীনামা উত্থাপন করে মোহাম্মদ আলমগীর কবিরকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবী জানান।
আবেদনে বলা হয়, মেয়র দীর্ঘদিন ধরে বাঘাইছড়ি পৌরসভাকে তার নিজস্ব সম্পত্তি হিবাসে ব্যবহার করছে। কোন কাউন্সিলারের সাথে কোন প্রকার কথা না বলে নিজের ইচ্ছেমতো সকল কাজ কর্মপরিচালনা করছে। আবেদনে কাউন্সিলারগণ ৯ দফা দাবী নামা উত্থোপন করেন দাবী গুলো মধ্যে রয়েছে, ক) সরকার থেকে ভ্যাকসিন বাবদ দেয়া ৯৪০০০/=(চুরানব্বই হাজার) টাকা আত্মসাৎ। খ) ২০১২ -১৩ অর্থ বছরের ১৫টি টিউব ওয়েল এর টেন্ডার দেখিয়ে ২১টি টিউব ওয়েল এর টাকা উত্তোলন করেন। গ) জমি ক্রয় দেখিয়ে সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৫১৬৪ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বাঘাইছড়ি শাখা হতে উত্তলন করে আত্মসাৎ। ঘ) স্থানীয় সরকার পল্লীুউন্নয়ন ও সমাবায় মন্ত্রনালয় হতে প্রাপ্ত গার্ভেজ ট্রাক অদ্যবোধী অফিসে হস্তান্তর না করে নিজের ব্যাক্তি গত কাজে ব্যবহার করা। ঙ) টোলের রাজস্ব ৭০,০০০.০০ (সত্তর হাজার) টাকা নগদে গ্রহন করে পরবর্তীতে ৩৫,০০০.০০ টাকা জমা না করে আত্মসাৎ করেন। চ) পৌরসভাহতে টেন্ডার দেখিয়ে সৌর প্যানেল তার নিজের বাসায় স্থাপন। ছ) পৌর সভার পানির ট্যাংক ও আসবাব পত্র নিজের বাসায় ব্যবহার। জ) দাপ্তরিক কাজে বিভিন্ন সভায় অংশ গ্রহন না করে যাতায়ত ভাতা উত্তোলন। ঝ) ব্যক্তিগত বাড়ীর কাজের বোয়াকে অফিস থেকে মজুরী প্রদান।
এছাড়া আরো নানা অনিয়মের তথ্য আলোচনায় আসে যে সমস্ত অনিয়মের কারনে আমরা আইনের চোখে দোষী সাব্যস্থ হতে পারি। ফলে বিগত সময়ে উক্ত মেয়রকে নানা ভাবে উল্লেখিত দুর্নীতি না করার পরামর্শ দিলে মেয়র তাহা কর্নপাত না করে নিজের ইচ্ছামাফিক দুর্নীতি করেই চলছে। তাই আমরা অদ্যকার সভার আয়োজন করে কাউন্সিলরদের পরবর্তী করনিয় নির্ধারন করি।
আলোচ্য সূচির ২য় ধারা মোতাবেক মেয়রের বিভিন্ন দুর্নিতি অনিয়ম ও খামখেয়ালির কারনে আমরা সকল কাউন্সিলরগন মেয়রের উপর অনাস্থা প্রস্তাব আনতে সম্মত হই এবং নিজ নিজ নামের পাশে স্বাক্ষর প্রদান পূবৃক নিজনিজ স্মমতি প্রদান করিলাম।
আলোচ্য সূচীর ৩য় ধারা মোতাবেক উল্লেখ্য অনাস্থা প্রস্তাব কার্যকরি করার জন্য কাউন্সিলরগনের মধ্য থেকে জনাব আব্দুল শুক্কুর মিয়া, জনাব মোঃ আলী, আমিনা খাতুন, চঞ্চলা চাকমা ও মোঃ হোসনকে উক্ত ব্যাপারে কাজ সম্পাদন করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র মোঃ আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাউন্সিলর আব্দুল শুক্কুর মিয়া ক্ষমতার লোভে আমাকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসতে চাচ্ছে। কোন দুর্নীতির সাথে আমি জড়িত নয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ও রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।