বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়িতে হত্যাকাণ্ড: মুখে কুলুপ সুশীলদের!

এম. সাইফুল ইসলাম:

পার্বত্য চট্টগ্রামে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে অবৈধ চাঁদাবাজি, অপহরণ আর খুনের ঘটনা। একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ এখানকার জনসাধারণের জীবন। ধীরে ধীরে মন্থর হয়ে আসছে এখানকার মানুষের জীবনের গতি। কে, কখন, কোথায় আর কার হাতে মরবে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই এখানে। এখানকার প্রতিটি মানুষ এখন ঘর থেকে বের হবার আগে মৃত্যুকে স্মরণ করেই বের হয়। মোটকথা অতিষ্ঠ, অনিশ্চিত জন-জীবন। এর মধ্যেই গত ৪৮ ঘন্টায় পাহাড়ে ঘটে গেছে শান্তি চুক্তি পরবর্তী পাহাড়ের সবচেয়ে বড় এবং নির্মম হত্যাকাণ্ড ও অপহরণের মতো ঘটনা।

সোমবার (১৮ মার্চ) সারাদেশের ১১৬টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও ২-১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হলেও তারপরের ঘটনা পাহাড় নয় পুরো দেশকে আতঙ্কিত করেছে। সেদিন রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের কংলাক থেকে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে নয় মাইল নামক এলাকায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ার কেড়ে নিয়েছে ৬টি তাজা প্রাণ, আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম ও ঢাকা সিএমএইচ এ নিয়ে যাবার পথে মারা যান আরো ১ জন। আহতের মধ্যে অনেকেই এখনো মৃত্যুর সাথে লড়ছে।

একনজরে হতাহতদের তালিকা:

নিহত ৭ জন:

১। মো. আমির হোসেন, প্রভাষক, কাচালং সরকারী কলেজ, প্রিজাইডিং অফিসার।

২। আবু তৈয়ব, শিক্ষক, বাঘাইছড়ি নিউ লাইলাঘোনা সরকারী প্রা. বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

৩। আল আমিন, ভিডিপি সদস্য।

৪। মেহের কান্তি, ভিডিপি সদস্য।

৫। জাহানারা বেগম, ভিডিপি সদস্য।

৬। বিলকিছ বেগম, ভিডিপি সদস্য।

৭। মিন্টু চাকমা, গাড়ির হেলপার।

আহত ১৯ জন:

১। এসআই রজব আলী।

২। এ এস আই বিল্লাল।

৩। কনস্টেবল আলীম।

৪। কনস্টেবল এনামুল।

৫। আ. হান্নান আরব, প্রভাষক শিজক কলেজ, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।

৬। বদিউল আলম, কৃষি কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার ।

৭।  মো. মাহবুব শিক্ষক,সহকারি প্রিজাইটিং।

৮। মো. জাফর আলী।

৯। মো. কবির হোসেন, আনসার ভিডিপি।

১০। মো. হাবিবুর রাহমান, আনসার,ভিডিপি।

১১। মো. মামুন, আনসার ভিডিপি।

১২। সারমিন আক্তার, আনসার ভিডিপি।

১৩। কহিনুর বেগম, আনসার ভিডিপি।

১৪। শ্রী কাঞ্চন, আনসার ভিডিপি।

১৫। নিরু চাকমা, আনসার ভিডিপি।

১৬। সোহেল চাকমা, আনসার ভিডিপি।

১৭। স্ট্রং চাকমা (ঘোড়া প্রতীকের এজেন্ট)

১৮। সাদ্দাম হোসেন, গাড়ির হেলপার।

১৯।  কনস্টেবল মো. ইউসুপ আলী।

এদিকে এ মর্মান্তিক ঘটনার মাত্র ১৪ ঘণ্টার মাথায় রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ফারুয়া থেকে নৌকায় করে উপজেলায় ফেরার পথে স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তাকে হত্যা করা হয়। আর এদিন বিকেলেই খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও লক্ষ্ণীছড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে ২ ইউপি সদস্যকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।

নিহতদের স্বজন, প্রশাসন ও ইসির বক্তব্য:

নিহতদের খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তাদের স্বজনদেও কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এসময় নিহত ভিডিপি সদস্য মেহের কান্তির ছেলে পিয়াল দত্ত ঘটনায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দায়ী করে বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরাগভাজন হয়েছেন তার বাবাসহ অন্যান্যরা। তিনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর জেএসএসকে দায়ী করে দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়া বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কাজ শেষে উপজেলা সদরে ফেরার পথে উপজাতি সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত ও আহত হবার ঘটনায় বাঘাইছড়ির সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা অভিযোগ করে বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফই ঘটিয়েছে।

এদিকে বাঘাইছড়ির ঘটনার পরদিন ১৯ মার্চ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন সেনাবাহিনীর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক। এসময় তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গা-ঢাকা দিলেও তাদের ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সেনাবাহিনী কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে মন্তব্যে করে তিনি জানিয়েছেন, কোনভাবেই সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁচতে পারবে না। যেকোন মূল্যে তাদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ১৯ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম সিএমএইচ এ আহতদের দেখতে আসেন নির্বাচন কমিশনার কে এম  নুরুল হুদা। এসময় তিনি জানান, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে কোনো হত্যাকাণ্ড দিয়ে বিচার করার সুযোগ নেই । তিনি বলেছেন, যদি নির্বাচনে অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেটার প্রতিশোধ মানুষের জীবন নিয়ে হয় না। এ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখ করে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। পার্বত্য এলাকায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে দাবি করে নুরুল হুদা বলেন, আহতদের চিকিৎসা ব্যয়বহন ছাড়াও নিহতদের পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যও পরপরই ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার। কমিটিতে অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তীকে প্রধান এবং রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

পরপর ২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ২০ মার্চ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। কিন্তু রাতের মধ্যেই হরতাল নিয়ে শুরু হয় নানা নাটক। শেষ পর্যন্ত অদৃশ্য হাতের ইশারায় সকালে শুরুর মাত্র ২ ঘন্টার ব্যবধানে হরতাল স্থগিত করে সংগঠনটি।

মানবাধিকার নিয়ে স্থানীয় একজন আন্দোলনকারী নেত্রী টুকু তালুকদার মনে করেন, এর মাধ্যমে হামলাকারীরা সরকারকে কোনো বার্তা দিতে চেয়েছে। যারা নির্বাচনের দ্বায়িত্ব পালন করে, এসব লোকদের ওপর এমন হামলা কখনও হয়নি। এটা আসলে তারা কি বোঝাতে চেয়েছে, সেটাও ভাবার বিষয়। আর সরকারের ওপর, মানে এতজন সরকারের লোককে একসাথে মেরে ফেলা, এটাতো সরকারকে হুমকি দেয়া। পার্বত্য অঞ্চলে এপর্যন্ত যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেগুলো কেউ কখনও স্বীকার করেনি। সবাই জানে, এটা ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে এটা কখনও স্বীকার করা হয়নি।

এই মানবাধিকার নেত্রী আরও বলেছেন, কথা হলো যে, হত্যাকাণ্ড ঘটে যাচ্ছে, সরকারও তদন্ত করছে, কিছু গ্রেফতার করছে। তারপর ঘটনা…। আমার মনে হয় যে, এ ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এমন ঘটনাগুলো ঘটছে। একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা,আর যেহেতু তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে, সাধারণ নিরীহ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হবার পর সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড এই বাঘাইছড়ি ট্রাজেডির ৪৮ ঘণ্টা পর বুধবার (২০ মার্চ) পুলিশ বাদী হয়ে ৪০-৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে একটি মামলা করা হলেও কোন আসামীকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি প্রশাসন।

সর্বশেষ, এ ঘটনায় ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু)কে দায়ী করা হলেও ইউপিডিএফ এ ঘটনায়  নিন্দা জানিয়েছে। জেএসএস(সন্তু) তবে ঘটনার ঠিক আগের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি বেনামি উপজাতি নিয়ন্ত্রিত আইডি থেকে হুমকি ও নির্বাচনের দিন বাঘাইছড়ির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেএসএস নেতা বড়ঝষি চাকমা সমর্থিতদের নিয়ে ভোট বর্জন করে সংবাদ মাধ্যমে দেয়া প্রেস রিলিজের কপিতে হুমকি প্রদর্শন করাকে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ের অতীত ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখতে পাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বভাবতই দেশের একটি স্পর্শকাতর অঞ্চল। যেখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটে যায় মহাঘটনা। সামান্য কিছু ঘটলেই সেটা পৌঁছে যায় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত।

পজিটিভ কোন ঘটনা ঘটলেও সেটাকে রং-চং মাখিয়ে নেগেটিভ ট্যাবলেটে পরিণত করে পাহাড় তথা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয় একটা বিশেষ কুচক্রী মহল। কোনক্রমে একটু সুযোগ পেলেই পাহাড়ী উপজাতী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী আর বাঙ্গালীদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে ভুল করে না।

কিন্তু বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি আর খাগড়াছড়ির পর কোথায় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ইপিডিএফ, জেএসএস, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, এএলডি, আইইডি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, নারীপক্ষ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন, জনউদ্যোগ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাক্টিভিজম, কাপেং ফাউন্ডেশন, আরডিসি, আদিবাসী কালচারাল ফোরাম, পিসিপি, বাগাছাস, গাসু, সাসু, জেএইউপি, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক, কুবরাজ, বাআছাসপ, বিএমএসসি, টিএসএফ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, জাতীয় হাজং ছাত্র সংগঠন, বাহাছাস ও হাসুকসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা?

বাঘাইছড়ি এবং বিলাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের কি মানবাধিকার বলতে কিছু নেই নাকি তারা বাঙ্গালী বলে জনতা চুপ?

সুলতানা কামাল, রাশেদ খান মেনন আর ইফতেখারের মতো সুশীলরাও আজ নীরব! কিন্তু কেন? জবাব চায় পাহাড়বাসী।

মানবাধিকার কমিশনের কাজটা কি? কেউ কি স্পষ্ট করবেন? আচ্ছা একবার নিহত বাঙ্গালী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিপরীতে উপজাতিদের বসিয়ে চিন্তা করুন তো, ভেবেছেন কি হতো পাহাড়ে?

পাহাড়ে অতীতে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে একটিরও সুষ্ঠু বিচার হয়নি, যাও কয়টি মামলা হয়েছে, অনেক মামলায় আসামীরাও গ্রেফতার হয়নি। এ বিষয়ে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা হত্যাকাণ্ডের পরপরই জঙ্গল দিয়ে বর্ডার ক্রস করে ভারতে চলে যায়, তাই তাদের গ্রেফতার করা যায় না।

সাধারণ পার্বত্যবাসী হিসেবে আমরা আজ শঙ্কিত, এসব ঘটনা আর ঘটনার পর প্রশাসনের আশ্বাস এখন আমাদের দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। যেখানে একজন পুলিশ সুপার বলেন, আসামীরা বর্ডার ক্রস করে পালিয়ে যায়, সেটাতে সরকারের দুর্বলতা ছাড়া আর কি প্রকাশ পায়?

পরিশেষে, নিহতদের রুহের মাগফিরাত আর আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বলতে চাই, আপনাদের এভাবেই মরার কথা ছিলো, আপসোস আপনাদের মানবাধিকার বলতে কিছু নেই।

লেখক: খাগড়াছড়ি থেকে


মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার বক্তব্য ও বিষয়বস্তু একান্তই লেখকের। পার্বত্যনিউজের সম্পাদকীয় নীতি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন