parbattanews

বাঙালহালিয়ায় রিটার্নিং অফিসারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলাধীন ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অর্থের বিনিময়ে ভোট কারচুপির করে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে রিটার্নিং অফিসার সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালত রাঙামাটি বরাবরে মামলা করছে মো. মোতালেব হোসেন নামের এক প্রার্থী।

মোরগ প্রতীকে নির্বাচন করা মোতালেব নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের একজন সক্রিয় সদস্য বলেও দাবি করেছেন। মামলা নং ৪৯৮/ ৫/১২/২০২১। মামলার পূর্বে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এদিকে একটি অভিযোগ পেয়েছেন এবং সেটি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে প্রাপ্ত নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা রিটার্নিং অফিসার উৎপল বড়ুয়া।

অভিযোগে মোতালেব উল্লেখ করেন, গত ২৮ নভেম্বর/২১ অনুষ্ঠিত ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাঙ্গালহালিয়া ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থ হই এবং ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পরিকল্পিতভাবে মোরগ প্রতীকের এজেন্ট প্রার্থী মোতালেবের মেয়ে মরিয়ম আক্তার ময়নাকে মহিলা বুথ থেকে ডেকে নিয়ে আনুমানিক ১০/১৫ মিনিট পর্যন্ত পার্শ্বোক্ত পুরুষ বুথে নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়।

এছাড়াও নির্বাচন শেষ হওয়ার অনেকক্ষণ পূর্বেই বেলা ১২ টার সময়ই প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক রেজাল্টশীটে সকল প্রার্থীর এজেন্টদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেওয়া হয়। যাহা সম্পূর্ন বিধি বর্হিভূত কাজ। বেলা সাড়ে তিনটার সময় ব্যালট বই এবং ব্যালট বক্স নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার একাই অন্য আরেকটি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে অন্য কেহ ছিলোনা। টিউবওয়েল প্রার্থীর নিকট থেকে আনুমানিক তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার সময় নির্বাচনে কর্তব্যরত লোকেরা একটি টাকার বান্ডিল গ্রহণ করেন। এসবের প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে বলেও দাবি করেছেন মোতালেব হোসেন।

নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভোট গণনাকালীন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আল মামুন নিজেই বুথের মধ্যে অবস্থান করছিলো এটার কতটুকু বৈধতা রয়েছে? ভোট গণনা শেষ করে একটি রেজাল্টশীট সংশ্লিষ্ট্য প্রার্থীদের এজেন্টদের দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি না করে কোনো রকম স্বাক্ষর নানিয়ে অবৈধ পন্থায় একটি রেজাল্টশীট বিদ্যালয়ের বারান্দায় টাঙিয়ে উক্ত স্থান ত্যাগ করেন সংশ্লিষ্ট্য কর্মকর্তা। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মো. মোতালেব হোসেন।

মোতালেব জানান, তারদলের একজন নেতার প্রত্যক্ষ ইন্ধনে বিএনপি সমর্থক প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো এলাকার আপামর মানুষের ভালোবাসা তার পক্ষে থাকলেও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাত্র তিন ভোটের ব্যবধানে তাকে পরিকল্পিতভাবে হারানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বাদী মোতালেব হোসেন।তার লিখিত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়া হয়েছে বিবাদীদের নাম জানাযায়, টিউবওয়েল প্রতিকের প্রার্থী, এমদাদুল হক মিলন, প্রিসাইডিং অফিসার ( প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত, আবদুল করিম, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারাধন কর্মকার, বিদ্যালয় দফাদার, আলমামুন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার উৎপল বড়ুয়া, জেলা নির্বাচন অফিসার রাঙামাটি সদর, সচিব স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, সচিব বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন ভবন ঢাকা। বিবাদীগনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা বরাবরে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার কপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তিন নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাধারন নির্বাচন ২৮  নভেম্বর/২১ তারিখে ব্যালেটের মাধ্যমে গৃহীত ০৩ বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী এমদাদুল হক মিলন, কে অবৈধ, বেআইনী ও অনির্বাচিত ঘোষনা সহ উক্ত ওয়ার্ডের ব্যালেট ও মুড়ি কপি তলব পূ্র্বক অবৈধ বেসরকারি ফলাফল বিজ্ঞ  আদালত যোগে যাচাই অন্তেঃ ভোট পুনঃ গণানার পর রায় ও ডিগ্রী প্রচার এবং ১ নং বিবাদীর শপথ গ্রহন স্থগিত ও নির্বাচন পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিতসহ ১ নং বিবাদী কে নির্বাচিত ঘোষনা করিয়া গেজেট প্রকাশ অবৈধ ঘোষনায় বাদীকে নির্বাচিত ঘোষনা করার এ মামলা দায়ের করেন বাদী মোতালেব হোসেন। বিষয় নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, বাদী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ে করেন। আমাদের হাতে উপযুক্ত প্রমানাদী রয়েছে।

Exit mobile version