parbattanews

বাঙালিরাই বাংলাদেশে আদিবাসী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাঙালিরাই বাংলাদেশে আদিবাসী। বাংলাদেশের মহান সংবিধানের  অনুচ্ছেদ ৬(২) এ স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলে পরিচিত হবে এবং অনুচ্ছেদ ২৩(ক): রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থি ও সরকারের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অবজ্ঞা করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্রবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যে তথাকথিত আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা, ইঞ্জিঃ আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়াে এসব কথা বলেন।

বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০.৩০টায়, জাতীয় প্রেসক্লাব এর সম্মুখে, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ মামুন ভূঁইয়াে বলেন, সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের উপজাতিরা কখনো আদিবাসী হতে পারে না। উপজাতীয়রা আদিবাসী ইস্যুটি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাতকারী এবং দেশ ভাগের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি শীঘ্রই এ  বিষয়ে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি ইঞ্জিঃ শাহাদাৎ ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, অধ্যাপক শাহ্‌জাহান শাজু। পার্বত্য গণ পরিষদের চেয়ারম্যান, কবি মাহমাদুল হাসান নিজামী। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের (ভারঃ) মহাসচিব ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য, শেখ আহাম্মদ (রাজু)। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা আব্দুল হামিদ রানা। পিবিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সারোয়ার জাহান খান প্রমুখ।

অন্যদিকে বিশেষ অতিথি মি. শাজু বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরেও দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সরকারের নির্দেশনা না মেনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তথাকথিত আদিবাসী দিবসের নামে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে যাতে দেশের কিছু সুশীল এসব কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিচ্ছে। এটা একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। বিদেশী কয়েকটি রাষ্ট্র ও এনজিও সংস্থার মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে এখানকার একশ্রেণির মানুষ দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার মানসে বিতর্কিত আদিবাসী দিবস পালন করছে।

অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, উপজাতি সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ সংবিধান লঙ্গন করে নিজেদের মিথ্যে আদিবাসী পরিচয় দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে,পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এসব দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা দেশ রক্ষার্থে এসব দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন।

Exit mobile version