বান্দরবানের ইসলাম ধর্ম প্রচারক ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডের একবছর

fec-image

পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবন জেলার রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের তুলাবন ছড়া গ্রামের ওমর ফারুক ত্রিপুরা ২০১৪ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর তার মাধ্যমে ওই এলাকার আরও ৩০টি পরিবার ইসলাম গ্রহণ করে।ওই এলাকায় তিনি নিজ উদ্যোগে তৈরী করেছেন একটি মসজিদ।তিনি সেই মসজিদের ইমাম।

ওমর ফারুকের এই ইসলাম গ্রহণ ও অন্যদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে ইসলামে দীক্ষিত করাটাকে পছন্দ হয়নি দেশদ্রোহী উপজাতীয় সন্ত্রাসী ও খ্রিস্টান মিশনারীদের।

পশ্চিমাদের পৃষ্ঠপোশকতা পরিচালিত খ্রিস্টান মিশনারীদের ইন্দনে গত ১৮ জুন ২০২১  নওমুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ভিন্ন দেশদ্রোহী উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা।

ঘটনার এক বছর অতিবাহিত হলেও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি প্রশাসন এবং এমনকি হত্যাকাণ্ডের শিকার ওমর ফারুক ত্রিপুরার পরিবার পায়নি সরকারি কোনো ধরনের সহায়তাও।

দেশের সংবিধান মোতাবেক স্বাধীনভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধর্মের ধর্মপ্রচারকগণ তাদের ধর্মের প্রচার ও প্রসার দীর্ঘ সময় ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অনেক বড় একটি অংশ ইতোমধ্যে তাদের পূর্ব পুরুষদের আচরিত বৌদ্ধ, হিন্দু ধর্ম বা প্রকৃতি পূজা ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তাতে কেউ বাধা দেয়নি।

অপরদিকে আমরা এটা দেখে অবাক হচ্ছি যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কেউ মুসলিম হতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইসলামের প্রচার ও প্রসার করতে গেলে ধর্মপ্রচারকদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে একটি গোষ্ঠী প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুম-খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে যে এই প্রতিক্রিয়াশলীরাই হত্যা করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ দেশের সংবিধান মোতাবেক সুস্পষ্টভাবে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে, যেন পাহাড়ে বসবাররত সকল জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের নাগরিক যাতে নিরাপদে তাদের স্ব স্ব ধর্মের বিধিবিধান পালন, প্রচার, প্রচারণা করতে পারে, তেমন একটি সুশৃংখল, নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ পার্বত্য চট্টগ্রামে নিশ্চিত করা। সেইসাথে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক নওমুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তির দাবি জানানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ওমর ফারুক ত্রিপুরা, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন