বান্দরবানের কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সকল সদস্যকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার ও কেএনএফের সাথে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ সভা কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্যশৈহ্লা।
এসময় পাহাড়ের শান্তি ফিরাতে কুকি-চীন সমস্যা নিরাসনে লক্ষ্যে ১৮ জন বিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠার কমিটির নাম আত্মপ্রকাশ করা হয়।
তারা হলেন- তঞ্চঙ্গ্যাঁ প্রতিনিধি, মুখ্যপাত্র ও সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যাঁ, বাঙালি প্রতিনিধি সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু, মারমা প্রতিনিধি সদস্য এড. বাসিং থুয়াই মার্মা, বম সোশ্যাল সভাপতি ও সদস্য সচিব লালজারলম বম, সদস্য রেভা, পাকসিমবয়তুং, লাল থাং জেম, সিং ইয়ং ম্রো, রাংলাই ম্রো, সিংঅং খুমি্ মংচিং নু মারমা, খিয়াং প্রতিনিধি ম্রাসাং খিয়াং, মানিক খিয়াং, ত্রিপুরা প্রতিনিধি কৃপা ত্রিপুরা, রামবাদু ত্রিপুরা (স্টিভ), চাকমা প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যেতি চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাঁ প্রতিনিধি উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যাঁ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির একমাত্র লক্ষ্যে ও উদ্দ্যেশ্য হলো বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আনুগাত্য রেখে পার্বত্য জেলার বান্দরবানে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিদ্যমান পরিস্থিতির নিরসন এবং কেএনএফ সদস্যদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগে গ্রহণ করা। কমিটির কোন সদস্য প্রত্যেক এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ব্যতীত স্বার্থের জন্য কাজ করবেন না। এই কার্যক্রম কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সকল সদস্যকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার ও কেএনএফের সাথে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ সহ সংঘটিত ঘটনাবলির কারণে যে সকল এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে সেসব এলাকায় খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করাসহ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা। এছাড়াও পাহাড়ের শান্তি ফিরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
সম্মেলনে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটিসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
