parbattanews

বান্দরবানের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় আরো ১০০ টন চাল বরাদ্দ

চাল

স্টাফ রিপোর্টার:

বান্দরবানের থানছির কয়েকটি ইউনিয়নের দুর্গম অঞ্চলসমূহের খাদ্য সংকটাপন্নবাসীর সংকট মোকাবেলায় সরকার আরো ১০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।

জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, ইতিমধ্যে খাদ্য সংকটাপন্ন এলাকাগুলোতে ৪৬ মেট্রিকটন চাল পাঠানো হয়েছে। আপদকালীন মজুদ হিসেবে বর্তমানে জেলা প্রশাসনের হাতে ২০০ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে এবং নতুন বরাদ্দসহ থানচি এলাকার জন্য মোট ৩৪৬ মেট্রিকটন খাদ্য সাহায্য পাওয়া গেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং বলেন, সরকার এ বিষয়ে সার্বিক অবহিত এবং সংকট মোকাবিলায় আন্তরিক। খাদ্য সংকট লাগবে প্রয়োজনে দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে সামরিক হেলিকপ্টার যোগে খাদ্য পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে সেনা ও বিমান বাহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, জুনে নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত খাদ্য সংকট থাকতে পারে। এ বিবেচনায় অক্টোবর মাস পর্যন্ত থানচি এলাকায় বিশেষ সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।

জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় খাদ্য সংকট থাকলেও থানচি সদর এলাকার খাদ্য পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেকোনো ধরনের সংকট মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং ত্রাণ বিভাগকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি জানান,খাদ্য সংকটাপন্ন এলাকাগুলোতে প্রথমে ১৬ মেট্রিকটন এবং পরে আরো দুই কিস্তিতে ৩০ মেট্রিকটন চাল পাঠানো হয়েছে। আপদকালীন সহায়তার জন্য থানচি সরকারি খাদ্য গুদামে ২০০ মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে। শনিবার আরো ১০০ টন চালের বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছর আগাম ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে মিয়ানমার সংলগ্ন থানচি উপজেলার দুর্গম কয়েকটি গ্রামের ম্রো , খুমি, ত্রিপুরা এবং মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন জুমের পুরো ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। ফলে নতুন ধান বোনার আগেই তাদের খাদ্যের মজুদ ফুরিয়ে যায়। ওইসব এলাকায় বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে না ওঠায় চাল কেনতেও পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে মে মাসের শুরুতে খাদ্যাভাবে তারা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

Exit mobile version