parbattanews

বান্দরবানের জারুলিয়াছড়ি সীমান্ত থেকে অপহৃত কৃষক ছাড়া পেয়েছে

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আটক কৃষককে ২৪ ঘন্টা পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার। এজন্য কোন পতাকা বৈঠক হয়নি। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪৭ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ওই কৃষক ছাড়া পায়। এই ঘটনার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ১১ বিজিবির পক্ষ থেকে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ফুলতলী জারুলিয়াছড়ি সীমান্তে গবাদিপশু চরানোর সময় বাংলাদেশি নাগরিক মো. ইউছুপকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের কিছু উপজাতি। এ ঘটনার জন্য মিয়ানমারের বিজিপির সঙ্গে থাকা আনসার (নাঠালা) বাহিনীর সদস্যরা জড়িত বলে সীমান্তের লোকজন ও অপহৃতের পরিবার ধারণা করেছিল।

ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপে জানা গেছে, ফুলতলী এলাকার জনৈক ইমাম হোসেনসহ কিছু ইয়াবা কারবারী মিয়ানমারের কিছু উপজাতির কাছ থেকে ইয়াবা ক্রয় করে টাকা পরিশোধ করেনি। আর সেই টাকা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশি কৃষক মো. ইউছুপকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের ধারণা ছিল কৃষক ইউছুপের পরিবারের মাধ্যমে ইমাম হোসেন ও অন্যান্য ইয়াবা কারবারীদের সাথে যোগাযোগ করা সহজ হবে।

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মো. ইউছুপ এই প্রতিবেদককে জানান, তাকে কিছু উপজাততি লোক ধরে নিয়ে যায়। তারা পোশাকধারী ছিলো না। জারুলিয়াছড়ি এলাকার ইয়াবা কারবারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য তাকে নিয়ে যায়। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন ও ঘটনাস্থল এলাকার ইউপি মেম্বার আলী হোসেন জানান, মূলত ইয়াবার টাকা আদায়ের জন্য কৃষক ইউছুপকে নিয়ে গিয়েছিল মিয়ানমারের কিছু উপজাতি লোক। তবে সেই ইয়াবা কারবারীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আবদুল আজীজ আহমেদ বলেন, সীমান্তে অন্যায়ভাবে অনুপ্রবেশ ও ঘুরাফেরাসহ কৃষক ইউছুপকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বুধবার মিয়ানমার বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হবে।

Exit mobile version