বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার একাধিক কেন্দ্রে নির্বাচনী কাজে থাকবে সেনা হেলিকপ্টার
মুজিবুর রহমান ভুইয়া :
বরাবরের মতো এবারও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ও ভোটের সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পাঠাতে বান্দরবানে থাকবে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার। বিশেষ করে রুমা ও থানচি উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে বরাবরের মতো হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসের সূত্র মতে, পাবর্ত্য বান্দরবানের দূর্গম কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণের জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত থাকবে। জেলার আলীকদম ইউনিয়নের করুকপাতা পাড়া রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোয়া মহুরী রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, থানছি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের দলিয়ান পাড়া রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেমাক্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাখায়ইংপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাসিয়াপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় মধুবাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তীন্দ ইউপির তীন্দু গ্রæপিং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাই থোয়াই হ্লা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিং থোয়াই অং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিন্নাপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রোয়াংছড়ি উপজেলার রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের রনিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের নুনতিয়া হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দানক্রি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকনিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চিংলক পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করার কথা রয়েছে।
বান্দরবানের ৭টি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়গুলোর নিরাপত্তা বিধানে ইতোমধ্যে প্রতিটি নির্বাচন অফিসে চারজন পুলিশ ও ছয়জন আনসার সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের পরিধি ছোট হয়ে আসবে জানিয়ে বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, একক ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে প্রত্যেকটি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, জেলার ৭টি উপজেলা নিয়ে পার্বত্য বান্দরবানের একমাত্র সংসদীয় আসন। এতে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধিতায় মাঠে রয়েছেন চার প্রার্থী। এ নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর, টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামীলীগ বহিস্কৃত সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, হাতি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা এবং টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে কামরুজ্জামান।
Facebook Comment