বান্দরবানের লামায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালের সেবা বঞ্চিত এলাকাবাসী
নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান:
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার ৪ বছর পরও শুধুমাত্র উদ্বোধন না করার কারণে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসি। লোকবল সংকটের কারণে প্রতিদিন রোগীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। ৯ জন ডাক্তারের স্থলে কর্মরত অছেন মাত্র ২ জন ।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: শাহআলম শরীফ পদোন্নতি পেয়ে সিভিল সার্জনের দায়িত্ব পালনের জন্য যশোর জেলা সদরে যোগ দিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত আর. এম. ও. ডা: শফিউর রহমান টি.এইচ.ও”র অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। বাকি ১ জন ডা: নজরুল ইসলামের পক্ষে দৈনিক শতশত রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া আরো বেশী কঠিন হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট(মেডিসিন), জুনিয় কনসালটেন্ট (সার্জারী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেসথেসিয়া), ডেন্টাল সার্জন, প্রধান সহকারি/ হিসাব রক্ষক, উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল টেকনিসিয়ান (ল্যাবরেটরি), মেডিকেল টেকনিসিয়ান (ফার্মাসিষ্ট), ওয়ার্ড বয়, কুক মশালচি ও বাগান মালীসহ ১৮ টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য থাকার কারণে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতালে স্থাপিত এক্স-রে মেশিনটি শুরু থেকেই বিকল। দুটি এম্বুলেন্স সারা বছরই অচলাবস্থায় পড়ে থাকে। ভারপ্রাপ্ত টি.এইচ.ও. ডা:শফিউর রহমান জানান, অর্থ বরাদ্ধের অভাবে এক্স-রে ও এম্বুলেন্স দুটি ঠিক করতে পারছেন না। ৫০ শয্যার হাসপাতাল আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরেই উদ্বোধন হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতাল উদ্বোধন করা হলে এলাকাবাসি পুর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা পাবেন।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: হেলাল উদ্দিন বলেন, লামা একটি জনবহুল উপজেলা। তদুপরি বছরের এই সময় ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া, টাইফয়েডসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এসব কারণে তিনি উপজেলা পরিষদের তরফ থেকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে ডিও লেটার দেবেন বলে তিনি জানান।