parbattanews

বান্দরবানের লুম্বিনিতে শ্রমিকদের জাল নোটে বেতন দেয়ার অভিযোগ

প্রতারণা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বান্দরবানের পোশাক কারখানা লুম্বিনিতে শ্রমিকদের বেতন জাল নোটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের কাছ থেকে ১৫টি এক হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে। শ্রমিকদের কাছে আরো জাল নোট থাকতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এনিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায় বৃহস্পতিবার পোশাক শিল্প কারখানা লুম্বিনির শ্রমিকদের ৫০ লাখ টাকা বেতন ভাতা দেয়া হয়। ইসলামী ব্যাংক বান্দরবান শাখা থেকে এই টাকা উত্তোলন করে শ্রমিকদের মাঝে প্রদান করা হয়। শুক্রবার শ্রমিকরা কেনাকাটা করতে গেলে জাল নোট প্রদানের বিষয়টি ধরা পড়ে। শনিবার সকালে কারাখানা কর্তপক্ষ শ্রমিকদের কাছ থেকে জাল নোট গুলো সংগ্রহ করে।

কারখানার ফিনিশিং শাখার শ্রমিক আব্বাস মিয়া জানান, তিনি পাঁচ হাজার ৬৩৬ টাকা বেতন নেন। বাসায় গিয়ে দেখতে পান বেতনের টাকার মধ্যে চার হাজার টাকার জাল নোট রয়েছে। পরে বিষয়টি তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানান।

মহিলা শ্রমিক সুচন্দা তংচঙ্গা জানান, তার স্বামী বিজয় সিংহ তংচঙ্গা ও তার পুরো বেতনের টাকাই জাল নোট পরেছে। একই শাখার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান তিনি নয় হাজার পাঁচ টাকা বেতনের টাকা তুলে দেখেন তার মধ্যে এক হাজার টাকার চারটি নোট জাল রয়েছে।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর শ্রমিকদের কাছ থেকে ১৫টি জাল নোটের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শ্রমিদের কাছে আরো জাল নেসাট থাকতে পারে। টাকাগুলো ব্যাংক থেকে না কি কারখানার হিসাব শাখা থেকে শ্রমিকদের দেয়া হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লুম্বিনি কারখানার তত্বাবধায়ক মফিজুল ইসলাম মামুন জানান, বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করার পর তা কারখানার ২৪টি শাখায় সুপারভাইজারদের মাধ্যমে বন্টন করা হয়েছে। এখনো নিশ্চিত নয় জাল টাকাগুলো কোথা থেকে এসেছে। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর শ্রমিদের কাছ থেকে জাল টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক বান্দরবান শাখার তত্বাবধায়ক মো. কাউছার জানান,কারখানা কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে টাকা বুঝে নিয়েছেন। তিন দিন পর জাল নোট পাওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাংক থেকে জাল টাকা দেয়ার সুযোগ নেই।

Exit mobile version