parbattanews

সোনাইছড়ি যুবলীগ সভাপতি ১ লাখ ৭১ হাজার ইয়াবাসহ আটক

বান্দরবানের সোনাইছড়ি সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মারোগ্যপাড়া এলাকা থেকে উছাহ্লা মারমা নামে ওই মাদককারবারীকে আটক করা হয়।

উছাহ্লা সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ এর সভাপতির পাশাপাশি সোনাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরী হিসেবে কর্মরত। তার পিতার নাম ক্যাসিং মারমা। আটকের পর তার কাছ থেকে ১ লাখ ৭১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মাদক কারবারে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

পুলিশ জানায়, স্কুলের দপ্তরী উছাহ্লা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচার করে আসছিল। গত কিছুদিন ধরে তাকে নজরে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার নাইক্ষ্যংছড়ি ও সোনাইছড়ি পুলিশের অভিযানে ১ লাখ ৭১ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা।

বান্দরবান পুলিশ সুপার জেরিন আকতারের নির্দেশনায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন নাইক্ষ্যংছড়ি ওসি মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, এস আই নুরুল ইসলাম, অরুণ কুমার চাকমা, রকিবুল ইসলাম, ধীমান বড়ুয়া, এএসআই খাদেমুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন সহ অপারেশন টিম।

জানা গেছে, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে পুলিশ-বিজিবির সাড়াশি ইয়াবা বিরোধী অভিযানের পরও ইয়াবা পাচার থামছে না৷ বরং ইয়াবা পাচারে নতুন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। বাহক হিসেবে সাধারণ পাহাড়ি-বাঙ্গালী মানুষ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হচ্ছে৷

নিষিদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায় রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার আড়ালে নাইক্ষ্যংছড়িতে বহু সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। তারা প্রকাশ্যে বৈধ পেশার পরিচয় দিলেও গোপনে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। বিশেষ করে জেলার ঘুমধুম, সোনাইছড়ি, আশারতলী ও চাকঢালা সীমান্তে বেড়েছে ইয়াবা পাচার। সম্প্রতি সময়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে বহু মাদককারবারি আটক হয়েছে।

এই অবস্থায় মাদককারবারির পাশাপাশি পর্দার আড়ালে থাকা মূল ইয়াবা ব্যবসায়ীদেরও চিহ্নিত করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের প্রতি দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

এদিকে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, উছাহ্লা মারমা পিন্টু ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে। জেলা কমিটির নির্দেশনায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

Exit mobile version