বান্দরবানে অন্তঃকন্দোলে জড়িত বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশে বিএনপি নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন সংগ্রাম করে দাবী আদয়ের লক্ষে হরতাল অবেরোধ দিয়ে রাজপথ কাঁপাচ্ছে এবং আওয়ামীলীগ-বিএনপি বিরোধে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তখন বান্দরবানে বিএনপি ও এর অংগ সংগঠন যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি ও অংগসংগঠন গুলির মধ্যে অন্তকোন্দলে আরো বেশী জড়িয়ে পড়ছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপিতে জেরী-ম্যামাচিং, যুব দলে মিটন- বক্কর আর ছাত্রদলে জুয়েল-বাপল্লু গ্রুপে অন্তকোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্য একটি অংশ সাচিং প্রু জেরীর পক্ষে আরেক অংশ ম্যা মাচিং এর পক্ষে। আবার সেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গির আলম সরাসরি ম্যা মাচিং এর পক্ষ হয়ে কাজ করছে বলে দলীয় সূত্রে জানাগেছে।
বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণে শুক্রবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ দলীয় জোটের বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গণ সমাবেশে যুবদল-সেচ্ছাসেবকদলের পক্ষ থেকে হামলা করা হয়। হামলায় ৭ কর্মী আহত হয়েছে।
দলীয় সুত্রে আরো জানা যায়, বিএনপি ও অংগ সংগঠনের অনেক নেতা কর্মীরা মনে করছে সরকার পরিবর্তন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তারা নিজেরা চিন্তা ভাবনা করে হিসাব-নিকাশ কসছে দল ক্ষমতায় যাওয়ার আগে কোন নেতার পাশে থাকলে ভবিষতে দলীয় ও আর্থিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে। তারা এখন থেকে কেউ আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেউ জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবেও দিবা সপ্নও দেখছেন। আবার অনেক নেতারা কে কোন উন্নয়ন সংস্থা দখল করে টেন্ডারবাজি করবেন তাও নির্ধারণ করা চেষ্ট করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ বান্দরবানে বিএনপি সু-শৃঙ্খল দল নয়। তারা দলীয় নেতাদের আনুগত্য করেনা। তারা দলকে ভালবেসে রাজনীতি করেনা, তারা দলকে ব্যাবহার করে আঙুল ফুলে কলা গাছ হতে চায়। জেলার নেতারা দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে নয় ক্ষমতার লোভে নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে। দলের দু-শীর্ষনেতা যেখানে নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে সেখানে অংগ সংগঠনের নেতারা কোন্দলে জড়িয়ে পড়বেই।
সূত্র জানায়, বান্দরবানে বিএনপির কোন্দল শুরু হয়েছে ৯৬ সালের শেষ দিক থেকে। ১৯৯৭ সালে সাচিং জেরীকে বাদ দিয়ে ম্যামাচিংকে সভাপতি করা হয়। তখন থেকে দলীয় কোন্দল আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। দলীয় কোন্দলের কারণে ২০০১ ও ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে মাঠ ভরা ধান গোলায় ফসল তুলতে পারেনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে ম্যা মাচিং ও সাচিং প্রু জেরীর বিরোধ মিঠানো না গেলে আবারও সাধারন নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের হাতছানি দেবে।