parbattanews

বান্দরবানে আড়াই লাখ ইয়াবা জব্দ

ইয়াবার জোয়ারে ভাসছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের সীমান্ত গ্রাম সমূহ। রোববার র‌্যাব-১৫ ঘুমধুমের বেতবুনিয়া জব্দ করেছিল থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮ টায় জব্দ করলো আড়াই লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।  অভিযানে জব্দ ইয়াবা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ব্যবসায়ী নিজ খাটের নিচে। যা র‌্যাব-১৫ জোয়ানরা নানা কৌশল খাটিয়ে তা উদ্ধার করেন। তিনি ঘুমধুম পশ্চিম পাড়ার আবদুস সালামের ছেলে আবদুল মালেক (৪৮) ।

এদিকে পুলিশ জানান, গত রোববার (৩ এপ্রিল,)  সোমবার (৪ এপ্রিল) ও বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) এ ৩ দিনে র‌্যাব-১৫ ও ১১ বিজিবি জব্দ করেন ৩ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা। এখানে র‌্যাব-১৫ জব্দ করেন ২ লাথ ৯০ হাজার পিস আর ১১ বিজিবি জব্দ করে ১৯ হাজার ৪২ পিস। এ তিন অভিযানে আটক করেন ৩ জনকে। যাদের মধ্যে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল মেম্বারও রয়েছে। এভাবে এ ধরণের উপর্যপুরি ইয়াবা উদ্ধারের খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গত কয়েকদিন ধরে।

একাধিক সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ অভিযানে সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়িতে সব চেয়ে বড় মাদক চালান জব্দ হয়েছে ।

থানার অফিসার ইনর্চাজ টানটু সাহা বলেন, আড়াই লাখ ইয়াবা নিয়ে আটক আবদুল মালেককে গ্রেফতার দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপর দিকে সচেতন মহল মনে করেন, নাইক্ষ্যছড়ি সীমান্ত পয়েন্ট সমূহে অধিকাংশ সচ্ছল মানুষ ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ায় কারও বক্তব্য নিতেও হিমশিম খাচ্ছে গণমাধ্যম কর্মিরা।

এমতাবস্থায় সীমান্তের মাদক পাচারের মূল পয়েন্ট ঘুমধুমের কয়েকজন সাধারণ মানুষ এ প্রতিবেদককে বলেন, সীমান্তরের ঘুমধুমের পশ্চিমপাড়া, তেববুনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের জামছড়ি-ফুলতলী পয়েন্টে ইয়াবার পাচার বেড়েছে। আবার অনেকে বলছেন, ইয়াবার জোয়ারে ভাসছে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা।

Exit mobile version