বান্দরবানে ঈদ বাজার এখনো জমে উঠেনি

Bandarban eid Bazar 29.7.2013

জমির উদ্দিন:

মাত্র ১০ দিন পর ঈদ এখনো বান্দরবানে জমে উঠেনি ঈদ বাজার। সাধারন দিনের চেয়ে সামান্য বেচা-কেনা বাড়লেও অন্যন্য বছরের তুলনায় একবারে কম বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। জাতীয় রাজনীতিতে সংকট সৃষ্টি এবং দ্রব্য মূল্যর উধর্ধগতির ও বর্ষার কারণে বেচাকেনা কমেছে মনে করছে অনেক ব্যবসায়ীরা। বাজারের ব্যাবসায়ীরা ভারতীয় অভিনেত্রী সানি লিওনের নামে এবং বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালের নামে বিভিন্ন পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানে দোকানে।

বাজার সমিতির সহ-সভাপতি রশিদ আহম্মদ জানান, জেলার মোট জনগোষ্টির অর্ধেক পাহাড়ী ও অর্ধেক বাঙ্গালী আবার অর্ধেক বাঙালীর মধ্যে অন্যান্য সম্প্রদায়ও রয়েছে। সে হিসেবে সমতল জেলার তুলনায় মুসলিমের সংখ্যা অনেক কম। এছাড়া স্থানীদের তুলনায় অন্যান্য জেলার বসবাসরত সরকারী চাকুরীজীবির সংখ্যা বেশী। চাকরিজীবিরা বেতন বোনাস নিয়ে যার যার জেলা পরিবার পরিজন ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে ঈদ করতে চলে যায়। আর স্থানীয়রা ঈদের বাজার করতে আসে সাধারনত রোজা ২৩ টার পর থেকে।

তিনি আরও জানান, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা সাংঘষির্ক এবং দব্যমূল্যর উধর্ধগতির কারণে নিন্ম আয়ের জনসাধারনের ঈদের কেনাকাটা করা দুরহৃ হয়ে পড়েছে। তিনি আশা করেন অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ঈদের বেচা-কেনার ধুম পড়বে। সপ্ন পুরির মালিক জানান, এবারে ঈদের জন্য ভারতীয় অভিনেত্রী সানি লিওনের নামে পোশাক এবং বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালের নামে বিভিন্ন পোশাক দোকানে তুলেছেন।

মানসম্মত পোশাক তার দোকানে থাকায় সারা বছরই ক্রেতা থাকে। ঈদ উপলক্ষে যে পরিমান দোকানে মালামাল তুলেছেন সে হিসেবে বেচা-কেনা নিতান্তই কম মনে করেন তিনি। গতকাল সোমবার শহরের ফোর ষ্টার, পৌর সপিং মল, চৌধুরী মার্কেট, ঝুমুর মার্কেট ও কাপড়ের গলি হিসেবে খ্যাত তিন নম্বর গলিতে ব্যাবসায়ীরা নতুন নতুন কাপড়ের পসরা নিয়ে বসেছেন। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন বাড়াতে অনেক দোকানে রাতে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করেও ক্রেতাদের তেমন সাড়া চাচ্ছেন না।

অন্যদিকে ঈদে ক্রেতাদের আর্কষন বাড়াতে দেশীয় তৈরী টেক্সটাইলের দোকানের কাপড়েও আবিজত্য তুলে ধরেছেন। এসব দোকান গুলেতে শিশুদের পোশাক বাহাড়ি পোশাক, মহিলদের সালোয়ার কামিজ হরেক রকমের ওড়না, পুরুষদের শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া নিয়ে দোকান সাজিয়েছেন। সে খানেও ক্রেতা শূন্য দেখা গেছে।
আশার আলো হচ্ছে জুতা, স্যান্ডেল দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে। এসব দোকান গুলোতে বিভিন্ন বয়সী শিশু নারী-পুরুষদের আর্কষনীয় জুতা সেন্ডেল দিয়ে দোকান সাজিয়েছে। এসব দোকানে দেশী বিদেশী হরেক রকমের পন্য থাকায় ক্রেতাদের ভীড় সব সময় লেগে থাকছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন