বান্দরবানে উৎপাদিত দানা পরিপূর্ণ বাদামের চাহিদা সারাদেশে
বিশেষ করে সাঙ্গু, মাতামুহুরী, বাকঁখালী নদীর বালি মাটিসহ বিভিন্ন এলাকা বাদাম চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী হওয়ায় সফলতাও পাচ্ছেন চাষীরা।
বান্দরবানে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদাম চাষ। কয়েকটি জাতের মধ্যে ত্রিদানা, মাইজচর, ঝিঙ্গা, বিনা চীনা বাদাম-৬ ও স্থানীয় জাতের বিভিন্ন প্রজাতির বাদাম উৎপাদিত হচ্ছে এখানে।
বিশেষ করে সাঙ্গু, মাতামুহুরী, বাকঁখালী নদীর বালি মাটিসহ বিভিন্ন এলাকা বাদাম চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী হওয়ায় সফলতাও পাচ্ছেন চাষীরা।
বান্দরবানে নদীর পাড়ে উৎপাদিত বাদামের দানা পরিপূর্ণ হওয়ায় অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানকার বাদাম বাজারে চাহিদা বেশি।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বান্দরবানের সাত উপজেলায় বাদাম চাষ হয়েছে। বিশেষ করে সাঙ্গু, মাতামুহুরী, বাকঁখালী নদীর চরের বিস্তীর্ণ তীরে বেড়েছে বাদামের আবাদ।
প্রতি বছর অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাদামের বীজ লাগানো হয় আর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ক্ষেত থেকে এই বাদাম তোলা হয়।
বান্দরবানে বাদামের জাত ভালো ও পরিণূর্ণ হওয়ায় প্রতি বছর এখানে উৎপাদিত বাদাম দেশের বিভিন্ন বাড়ছে এর চাহিদা।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।
৭-৮ মণ ফলনে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা আয় হচ্ছে কৃষকের। জেলায় এবার ১হাজার শ ৮ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ২১ মেট্রিক টন বাদাম আবাদ হয়েছে।