নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানে ৩০টি পূজামন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব করা হবে। উৎসব শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ করতে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বান্দরবান কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশ জানিয়েছেন, জেলা সদরে ১০টি এবং অপর ছয় উপজেলায় ২০ পূজামন্ডপ তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবান শহরের ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠে স্থাপিত কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, পূজা আয়োজনের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করে এনেছে উৎসব উদযাপন কমিটি। দূর্গাসহ অন্যান্য প্রতিমাকে সাজিয়ে তুলতে প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। মন্ডপের প্রবেশ মুখে শৈল্পিক তোরণ নির্মাণে একটানা কাজ করে যাচ্ছেন পেশাজীবী শিল্পী এবং শৌখিন সহযোগীরা। ৭ অক্টোবর শুক্রবার মহাষষ্ঠীর আগেই সব কাজ সম্পন্ন করতে সবাই কাজ করছেন জোরেশোরে।
পূজা উদযাপন কমিটি জানায়, শুক্রবার সকাল ৭টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন, দেবীর মুখোন্মচন ও দেবী স্তুতির মাধ্যমে পূজার শুভ সূচনা করবেন রাঙামাটির বাঙালহালিয়ার জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এমপি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
১১ অক্টোবর মহাদশমীর দিনে সকাল ১১টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে শহরের কেন্দ্রস্থলে শঙ্খ নদীতে দেবী দূর্গা মা’কে বিসর্জন দেওয়ার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী দূর্গোৎসব শেষ হবে।
লক্ষ্মীপদ দাশ জানান, এবারও বান্দরবান কেন্দ্রীয় দূর্গামন্ডপকে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় মন্ডপে রূপ দিতে স্বেচ্ছাসেবক এবং সর্বস্তরের কর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করছেন। তিনি জানান, জেলার সকল এলাকায় পূজা উৎসবকে শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ রাখার জন্য বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।