বান্দরবানে ওএমএস ডিলার নিয়োগে বাণিজ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানে খাদ্য অধিদপ্তরের নায্যমূল্যে (ওএমএস) চাউল, আটা বিক্রির ডিলার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্থের বিনিময়ে বান্দরবান সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শশীধর চাকমা এবং খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল খালেক মনগড়া তদন্ত রিপোর্ট বানিয়ে অধিদপ্তরের খাদ্য পরিদর্শক আবদুল কুদ্দুছের ছেলে অনিয়মের অভিযোগে সরকারি ভাবে কালো তালিকাভূক্ত (কৃষ্ণাজ্ঞ) মো. আবদুল মতিন এবং যৌথ খামার যাত্রী ছাইনীকে দোকানঘর দেখিয়ে সরকার দলীয় স্থানীয় নেতা মো. এরশাদ চৌধুরী’সহ ৬ জনকে খোলা বাজারে নায্য মূল্যে (ওএমএস) চাউল বিক্রির ডিলার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অর্থের বিনিময়ে কাগজপত্র না দেখে নয়-ছয় করে বান্দরবান সদর উপজেলায় নিয়োগ চূড়ান্ত করা ৬ জন ডিলারেরা হলেন- খাদ্য পরিদর্শক আবদুল কুদ্দুছের ছেলে মো. আবদুল মতিন (যার বিরুদ্ধে ২০০৭-০৮ সালে) নায্যমূল্যে চাল কেলেংকারীর দায়ে মামলা হয়। এছাড়াও শহরের যৌথ খামার যাত্রী ছাইনীকে দোকানঘর দেখিয়ে কাগজপত্র ছাড়াই যুবলীগ নেতা মো. এরশাদ চৌধুরী এবং বালাঘাটার মো. জসিম উদ্দিন, ক্যাচিংঘাটার ওমর ফারুক, কালাঘাটার বড়ুয়া টেক এলাকার জাফর আলম, মধ্যমপাড়া জয়দত্ত বড়ুয়া।
ডিলারের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানকারী জাহাঙ্গীর আলম ও জসিম উদ্দিন কয়েকজন জানান, অর্থের বিনিময়ে কাগজপত্র যাছাই-বাছাই না করে মনগড়াভাবে ৬ জনকে ডিলার নিয়োক পত্র দেয়া হয়েছে। চূড়ান্তকারীদের মধ্যে চাউল কেলেংকারীর দায়ে একজনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এছাড়াও যাত্রী ছাইনীকে দোকানঘর দেখিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা এবং কাগজপত্র ছাড়াই অধিকাংশ ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোনো স্বচ্ছতা নিশ্চিত না ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
তবে ডিলার নিয়োগে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে বান্দরবান সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শশীধর চাকমা জানান, খাদ্য পরিদর্শক তদন্ত রিপোর্টের কাগজপত্রের উপর ভিত্তি করেই ডিলার হিসেবে ৬ জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। খাদ্য পরিদর্শক তদন্ত কাগজপত্র ঠিক আছে বলেই তো রিপোর্ট দিয়েছেন। তবে খাদ্য পরিদর্শক আবদুল কুদ্দুছের ছেলে অনিয়মের অভিযোগে সরকারীভাবে কালো তালিকাভূক্ত মো. আবদুল মতিন এবং যৌথ খামার যাত্রী ছাইনীকে দোকানঘর দেখিয়ে আওয়ামী সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতা মো. এরশাদ চৌধুরী কে ডিলার দেয়ার বিষয়ে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। বিষয়গুলো খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল খালেক’ই জানেন বলে দায় এড়িয়েছেন তিনি।
উপজেলা কর্মকর্তার সম্মুখে খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল খালেক এর কাছে বিষয়গুলো সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি যাত্রী ছাইনীকে দোকানঘর দেখানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে খাদ্য পরিদর্শক আবদুল কুদ্দুছের ছেলে মো. আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে ওএমএস চাউল কেলেংকারীর অভিযোগে সরকারীভাবে কালো তালিকাভূক্ত হওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে দাবী করেন।