parbattanews

বান্দরবানে কোন রোহিঙ্গা থাকতে পারবে না: জেলা প্রশাসক


নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান

বান্দরবানে কোন রোহিঙ্গা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেনা। তাদেরকে স্বসম্মানে কক্সবাজারের উখিয়া শরণার্থীশিবিরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভায় সেনা বাহিনী সদর জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর শহিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও সিভিল সার্জন অং সুই মারমা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর সহিংসতার পর পালিয়ে আসা প্রায় ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বান্দরবানের ৭টি আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে ৩৫ হাজার। এদের খুব শীঘ্রিই কক্সবাজারের উখিয়া শরণার্থীশিবিরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, মিয়ানমারে সেনা বাহিনীর হামলা ও নির্যাতনে গত ২৫ আগস্ট থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ৩টি পয়েন্ট ও ঘুমধুমের ৪টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

তিনি জানান, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করার কার্যক্রম চলছে। নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হলে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের বালুখালী, কুতুপালং ও থাইংখালী শরণার্থী শিবিরে সরিয়ে নেয়া হবে। বান্দরবানের কোথাও যাতে রোহিঙ্গারা স্থায়ীভাবে থেকে যেতে না পারে সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় চলে আসা রোহিঙ্গাদের দেখা মাত্র কক্সবাজারের বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেউ যাতে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি শুরু করেছে বান্দরবানের প্রশাসন। জেলার বৌদ্ধ ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে বাড়তি পুলিশ পাহারার পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলাসহ সামগ্রিক বিষয় তদারকির জন্য ঘুমধুম সীমান্তে সার্বক্ষণিক একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ দেয়ার সুবিধার্থে ৪টি ত্রাণ সেন্টার খোলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ হতে।

Exit mobile version