বান্দরবানে চাষের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হলেও এবার রোপা আমনের ফলন ভাল

 

স্টাফ রিপোর্টার :

বান্দরবানে রোপা আমনের এবার ফলন ভাল হয়েছে। আমনের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের চোখে মিলেছে হাসির ঝিলিক। অন্যদিকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার থেকে ১১৮ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করা হয়নি। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লক্ষ ১৮ হাজার ২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষে ৩৫ হাজার ৪শত ১৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৬৫৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষ নির্ধারণ করা হলেও চলতি মৌসুমে মাত্র ৪৫৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। ১১৮ হেক্টর জমিতে ধান চাষ কম হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এই উপজেলায় অতিমাত্রায় কৃষকরা তামাক চাষে ঝুঁকে পরাই ধানের আবাদ কম হয়েছে জানিয়েছেন রোয়ংছড়ি উপজেলার সহ-কারী কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ।

সদর উপজেলায় ২ হাজার ৬শত ১৯ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হলেও চাষ হয়েছে ২ হাজার ৬শত ৫ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষমাত্রার চেয়ে ১৪ হেক্টর জমিতে লক্ষ মাত্রার চেয়ে কম চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ৭ হাজার ৯শত ৭০ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৪ হেক্টর জমিতে কম চাষ হওয়ার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন শাঁক সবজি চাষ ও পোল্ট্রি ফার্ম নির্মান করার কথা জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

রোপা আমনের নমুনা শষ্য কর্তন উপলক্ষে সোমবার সকালে ক্যামলং এলাকায় প্রদর্শনী সোমা পায়জাম জাতের ধান কর্তন করা হয়েছে। ২০ বর্গমিটার ধান্য এলাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে হেক্টর প্রতি কত মণ ধান উৎপাদন করা হয়েছে।

সোমবার পূর্বাঞ্চলীয় সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ক্যামলং এলাকায় মংচিংঞো কৃষকের ২০ বর্গমিটার ধান কর্তন করা হয়েছে। কর্তন শেষে ১ হেক্টরে প্রায় চার মেট্রিকটন ধান উৎপন্ন হয়েছে।

কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষন কর্মকর্তা সামশুল ইসলাম জানান, সোমা প্রজাতির ধান স্থানীয় ধান। এই ধান পার্বত্য এলাকার আবহাওয়া ও পরিবেশের সাথে মানন সইএবং এর ফলনও অন্য ধানের চেয়ে আগাম ফলন পাওয়া যায় তাই এধানের বীজ বপন করা হয়েছিল। এবং এর উৎপাদন ও ভাল হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. বিমল কুমার প্রামাণিক বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকার ১ বিঘা জমিতে বিনামূল্য বীজ, প্রয়োজনীয় সার ও উন্নত প্রযুক্তিতে আবাদ করার জন্য কৃষকদের একদিনের প্রশিক্ষন দিয়েছেন। প্রদর্শনী প্লট গুলোতে ফলনও ভাল হয়েছে।

কৃষক মংচিংঞো বলেন, সোমা প্রজাতির ধানের ফলন ভাল হয়েছে। দেড়কানি জমিতে ৩০০ আড়ি ধান পাওয়ার আশা করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন