নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানের সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নে চড়ুই পাড়া কেন্দ্রে রবিবার জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৭২ জাতের আবাদকারী কৃষকদের প্রশিক্ষণ সভা করা হয়েছে। হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের সহযোগীতায় প্রকাশ গণ উন্নয়ন কেন্দ্রে কৃষকদের প্রশিক্ষনদেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। এ সময় প্রকাশ গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: সাইফুর রহমান ও মো. রিব্বানুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মো. খায়রুল বাশার এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৭২ জাতের ধান আবিষ্কার করেন।
প্রশিক্ষক কৃষকদের উদ্দেশ্য বলেন, জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৭২ জাতটি উচ্চ ফলনশীল। এ জাতের ধানে প্রতি কেজিতে প্রায় ২২.৮ মিলিগ্রাম জিংক থাকে। উপযুক্ত পরিচর্যায় পেলে হেক্টর প্রতি ৫.৭ মে. টন ফলন উৎপন্ন হয়। এ জাতের ধানের চাল খেলে মানুষের শরীরের আয়রন ও প্রোটিনের চাহিদা অনেকাংশে মিটবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। জিংক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশে সহায়ক। জিংক বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ চাল ১-৫ বছরের শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠনে সহায়তা করে এবং গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে।
ফলন ভাল পেতে চারা রোপনের সময় শুতালি দিয়ে লাইন সোজা করে প্রতি গুছিতে ২-৩টি করে চারা ২০ সেমি:-১৫ সেমি: দুরত্বে রোপন করতে ও সঠিক সময়ে আগাছা পরিস্কার এবং কীটনাশক সার দিতে কৃষকদের বলেন কৃষি কর্মকর্তা।