বান্দরবানে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধানের গুণাগুণ বিষয়ক উঠান বৈঠক
স্টাফ রিপোর্টার :
বান্দরবানের সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের নিয়ে জিংক ধানের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা বিষয়ক উঠান বৈঠক করা হয়েছে। মঙ্গলবার কালাঘাটার বড়ইতলী পাড়ায় হারভেষ্টপ্লাস-বাংলাদেশের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রকাশ গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধানের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা বিষয়ক আলোচনা ও উঠান বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত দাশ, পিজিইউকের সমন্বয়কারী রিব্বানুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আলোচকবৃন্দ বলেন, জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৬২, ৬৪, ৭২ ও ৭৪ উচ্চ ফলনশীল। এ জাতের ধানে প্রতি কেজিতে প্রায় ২৪ মিলিগ্রাম জিংক ও ৯% প্রোটিন থাকে। ফলন হেক্টর প্রতি ৬.৫-৭.০ টন উৎপন্ন হয়। এ জাতের ধানের চাল খেলে মানুষের শরীরের আয়রন ও প্রোটিনের চাহিদা অনেকাংশে মিটবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
জিংক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশসহ নানাবিধ শারীর বৃদ্ধির সহায়ক ও বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ১-৫ বছরের শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। শিশুর শরীর গঠনে সহায়তা করে এবং গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে।
আলোচকরা বলেন, চারা রোপনের সময় শুতালি দিয়ে লাইন সোজা করে প্রতি গুছিতে ২/৩টি করে চারা ২০ থেকে ১৫ সেন্টি মিটার (ছয় ইঞ্চি) দূরত্বে রোপন করতে হবে।
সূত্র জানা যায়, বাংলাদেশেই প্রথম জিংক সমৃদ্ধ ধান আবিষ্কার করা হয়েছে। হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মো. খায়রুল বাশার এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জিংক সমৃদ্ধ ধান আবিষ্কার করেন।