parbattanews

বান্দরবানে ঝুকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে সরিয়ে যেতে মাইকিং

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বান্দরবানে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনকে প্রাথমিকভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

শনিবার দুপুর থেকে জেলা প্রশাসন ও পৌর সভার পক্ষে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে।জেলার ৭টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যারা ঝুকিপুর্ণভাবে বসবাস করছে তাদেরকে দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নেয়ার জন্য।

জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলা ১৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তত রাখা হয়েছে।তাই সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এছাড়াও জেলার দূর্গম পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমনে সতর্ক ভাবে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জেলার দূর্গম থানচি উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন এলাকা রেমাক্রী নাফাকুমে পর্যটক ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রশাসন। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থানচি উপজেলা প্রশাসন।

প্রশাসন ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, টানা তিনদিনের ছুটিতে থানচি উপজেলার পর্যটন এলাকা রেমাক্রী ও নাফাকুমের সৌন্দর্য দেখতে প্রচুর পর্যটক থানচি ভ্রমনে আসছেন।কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নদী পথে যাতায়ত ঝুকিপূর্ণ এবং দূর্গম এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় সেখানে পর্যটকদের অবস্থান না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে রেমাক্রী ও নাফাকুমে প্রায় ১ হাজারও বেশি পর্যটক রয়েছে।তাদেরকেও নিরাপদে সেখান থেকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল বলেন,দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে থানচি উপজেলার পর্যটন স্পট গুলো ভ্রমনে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে যারা রয়েছে বিজিবির মাধ্যমে তাদেরকেও নিয়ে আসা হচ্ছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলায় মোট ১৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সর্বক্ষনিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।বান্দরবানে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনকে প্রাথমিকভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

Exit mobile version