parbattanews

বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে নুয়ে পড়ছে কৃষকের স্বপ্নের ধান

মাঠজুড়ে সবুজ ধান ক্ষেত। এখনো বের হয়নি শীষ। কয়েকদিন পর এই মাঠে সোনালি রঙের ধান কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। এমন প্রত্যাশায় ছিল বান্দরবানের কৃষকরা। কিন্তু গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে কৃষকের স্বপ্ন পানিতে যেন ঢুবে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টির ফলে নিচু এলাকায় উঠতি আমন ধান গাছগুলো পানিতে নুয়ে পড়ছে। দীর্ঘক্ষণ পানির নিচে ডুবে থাকায় ধান গাছ নষ্ট হয়ে যাবে মনে করছেন কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে বৃষ্টিপাত কমলে তেমন সমস্যা হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় এবার ৩হাজার ৩০৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত এসব ক্ষেতের সম্ভাবনা নিয়ে কৃষকের পাশাপাশি কৃষি বিভাগও স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু গত বুধবার থেকে জেলাজুড়ে শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাত। এতে করে জেলার সাত উপজেলার নিচু এলাকায় করা আমন ক্ষেতের ধান গাছগুলো পানিতে নুয়ে পড়ছে। টানা ৩/৪ দিন বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি জমে গেছে। এই অবস্থায় উঠতি আমন ধান গাছগুলো পচে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে তুলনামূলক জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। আজ-কালেরমধ্যে বৃষ্টি না কমলে পানিতে থাকা বাকি আমন ক্ষেতও পচে নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে বিভিন্ন কৃষকের সাথে আলাপে জানা গেছে, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে এবার আমন চাষ হয়েছে প্রায় ১হাজার হেক্টর। এই ইউনিয়নের মধ্যম বাইশারী গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম, ছৈয়দ আলম জানান, গত বুধবার থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে এলাকায়। বৃষ্টিতে তাদের ক্ষেতের ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। সেসব গাছে এখনো শীষ বের হয়নি। যার কারণে নুয়ে পড়া ধান গাছ গুলো নষ্ট হয়ে যাবে।

ওই এলাকায় দায়িত্বরত কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিক জানান, বর্তমানে আধা পাকা হয়েছে অনেক ক্ষেত। বৃষ্টিতে সামান্য কিছু আমন ক্ষেত নুয়ে পড়েছে। তবে এই সংখ্যা খুব কম। পানি সরে গেলে ধান বেঁচে যাবে এবং পানি না সরলে কিছু নষ্টও হতে পারে। তবে পানি যেন জমে না থাকে সেজন্য কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন তিনি।

এদিকে একই অবস্থা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নেও। হাতির আক্রমণ উপদ্রপ অন্যদিকে বৃষ্টিতে স্বাভাবিকভাবে কৃষকের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে ইউনিয়নের বিভিন্ন কৃষকের গাছ নুয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় কৃষকের স্বপ্ন রক্ষায় কৃষি বিভাগের জোরালো তৎপরতা চান তিনি। তবে এই এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিমুল বড়ুয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version