parbattanews

বান্দরবানে তামাকের বদলে আখ চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা

বান্দরবানে বিস্তীর্ণ আবাদী জমিতে এক সময় চাষ হতো ক্ষতিকর তামাকের। এতে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তো চাষিরা। তবে বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহায়তায় এখন এসব জমিতে তামাকের বদলে চাষ হচ্ছে আখের। বিনামূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক পাওয়ার পাশাপাশি রোগবালাই কম হওয়ায় আখ চাষের প্রতি ঝুঁকছেন চাষীরা।
জেলার হানসামাপাড়া, বাঘমারা, জামছড়ি, বালাঘাটাসহ  বিভিন্ন এলাকার জমিতে চাষ হচ্ছে সিও ২০৮, রংবিলাস ৪২, বিএসআরআই, অমৃতসহ নানা জাতের আখ। রোগ বালাই কম ও এ অঞ্চলের আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় ফলনও হচ্ছে ভাল।
২০০৬ সাল থেকে এ অঞ্চলে তামাকের বিকল্প হিসেবে আখ চাষ বাড়ানোর কাজ শুরু হয় বাংলাদেশ সুগার রিসার্চ ইনস্টিটিউট। প্রতিবছর বিনামূল্যে বিতরণ করে বীজ, সার, কীটনাশকসহ নানা কৃষি সরঞ্জাম। দেয়া হয় প্রশিক্ষণ। উৎপাদিত এ ফসল থেকে গুড় তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে আয়ের খাত।
Farmers are tending to cultivate sugarcane in Bandarban
ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, সাড়ে তিনশো থেকে চারশো তামাক চাষী উদ্বুদ্ধ হয়েছে আখ চাষে। ফলে ২০১৮ সালে ৫৭০ হেক্টর জমিতে ৮৩ হাজার ৬শ ২২ মেট্রিক টন আখ উৎপাদন হয়। গেলো বছর ৬৩০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয় ৮৭ হাজার মেট্রিক টন।
রোয়াংছড়ি উপজেলার আখ চাষী মংশাই মারমা জানান, আমি প্রতি বছর এক বিঘা জমিতে এই আখ চাষ করি এবং প্রচুর লাভবান হই। বর্তমানে আমাকে দেখে আরও অনেকে এই আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে । ভবিষ্যতে আরও ভালো মানের আখ চাষ করে সকলেই স্বাবলম্বী হতে পারব এটা আশা করছি।
বান্দরবানে সাতটি উপজেলায় গুড়ের চাহিদা ৩২ মেট্রিক টন। কিন্তু বর্তমানে উৎপাদন হয় মাত্র ৭ থেকে ৮ মেট্রিক টন। ফলে আখ চাষে বিপুল সম্ভাবনার কথা জানান এই গবেষক।
Exit mobile version