parbattanews

বান্দরবানে পাথর উত্তোলন বন্ধে চার সচিবসহ ১২ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

Bandarban pic--12.2.2017

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান :
বান্দরবানে পাথর উত্তোলন বন্ধে চার সচিবসহ ১২ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন বান্দরবান সিনিয়র সহকারী জেলা ও দায়রা জজ মনিষা মহাজনের আদালত।  ঝিরি ঝর্ণা ও নদী থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে শিমুল জালাই ত্রিপুরার জনসার্থে করা মামলার শুনানি করে রোববার আসামীদের ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন আদালত।

সূত্র জানায়, রোববার লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দার শিমুল জালাই ত্রিপুরা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দায়ের করা মামলায় বান্দরবান সিনিয়র সহকারী জেলা ও দায়রা জজ মনিষা মহাজন আদালত এ আদেশ দেন।

অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, পাথর ব্যবসায়ী প্রদীপ দাশ, আলী হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালরের সচিব, খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হারুন অর রশীদ, লামা ইউএনও খিন ওয়াননু, লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও লামা উপজেলা পরিষদের ভূমি কর্মকর্তা।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পাথর উত্তোলন বন্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না, কারণ জানতে চেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ জারি করেছেন।

বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক অফিসার বেদারুল আলম জানান, লামার স্থানীয় বাসিন্দার শিমুল জালাই ত্রিপুরা পাথর উত্তোলন, পাচার বন্ধে জনস্বার্থে দায়ের করা মামলায় বান্দরবান সিনিয়র সহকারী জেলা ও দায়রা জজ মনিষা মহাজন ১২ জনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন।

মামলার বাদী শিমুল জালাই ত্রিপুরা জানান, লামার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে পাহাড়ী ঝিরি ও ঝর্ণা থেকে নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের ফলে ঝিরি ঝর্ণাগুলোর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। পাথর উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে পানির জন্য এলাকায় হাহাকার সৃষ্টি হবে। এজন্য জনস্বার্থে পাথর উত্তোলন, পাচার বন্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আমি আদালতে মামলাটি করেছি।

প্রসঙ্গত, বান্দরবান জেলার থানছি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম, রুমা এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ী ঝিরি ঝর্ণায় পাহাড় খোদাই করে নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের মহোৎসবে মেতেছে সংঘবদ্ধ চক্র।

Exit mobile version