parbattanews

বান্দরবানে পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি

বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়া ও বড়দুয়ারা এলাকার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এখনো বন্ধ রয়েছে যানচলাচল

বান্দরবানে বন্যার পানি নামলেও এখনো চালু হয়নি সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ। ভারী বৃষ্টিপাত না হলে বুধবার থেকে যানচলাচল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে গত আটদিন ধরে বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়া ও বড়দুয়ারা এলাকার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এখনো বন্ধ রয়েছে যানচলাচল। এছাড়াও জেলা সদরের সাথে অপর ৬টি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।

তবে সোমবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জেলা শহরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে গেছে। বন্যার্তদের বাড়ী ঘর থেকে পানি সরে গেলেও কাদার কারনে বাড়ীতে যেতে পারছে না আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষজন। অনেকের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ঘরের কাদা আসবাবপত্র পরিস্কার করতে হিমশিম খাচ্ছে ক্ষুদ্র পরিবারের লোকজন। এছাড়া শ্রমজীবী মানুষের ঘর ডুবে যাওয়ায় নিজেদের ঘর পরিস্কারের কাজে ব্যস্ত থাকায় কাজের জন্য মানুষও পাওয়া যাচ্ছে না। বন্যা পরবর্তী বান্দরবানের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুৎতের ভেলকিভাজিতে জেলা শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।

এদিকে অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সারাদিনে গড়ে ১ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যায়না। আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করার কারণে অনেকের দামি ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অতি বৃষ্টি ও আকষ্মিক বন্যায় মারাত্মক প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে জেলার ৫টি উপজেলায় মারত্মক ক্ষতি ও ২টি উপজেলায় আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় ১০ হাজার মানুষকে ১৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১শটি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক গাছপালা, ঘরবাড়ি ও বিদ্যুতের খুটি বিনষ্ট হয়েছে।

বান্দরবান সদরের সাথে রুমা, থানচি, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য ৭ লক্ষ ৫০ হাজার জিআর বরাদ্দ, ৪৫০ মে.টন জিআর চাল, ২ হাজার কার্টুন শুকনো ও বিভিন্ন খাবার এবং ৫শ তাবু বিতরণ করা হচ্ছে।

বান্দরবানের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম বলেন, বন্যার পানি সরে গেছে। কিন্তু সড়ক যোগাযোগ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বন্যা পরবর্তী মানুষের দূর্ভোগ কিছুটা বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবর পেয়েছি। সাত উপজেলা থেকে আমরা ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য সংরক্ষণ করছি।

বান্দরবান সদর ও লামা উপজেলায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ একটু বেশি হয়েছে। তবে এখনো সুনির্দিষ্ট করে ক্ষতির পরিমাণ জানানো যাচ্ছে না। চারিদিকে বন্যা কবলিত হওয়ায় পুরো জেলায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো অনেক মানুষ রয়েছে। তাদেরকে শুকনা খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে।

Exit mobile version