বান্দরবানে পার্বত্য চুক্তির দুই যুগ পূর্তিতে নানা আয়োজন
বান্দরবানে পার্বত্য চুক্তির দুই যুগ পূর্তিতে নানা আয়োজন করেছে জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ হতে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এটি বান্দরবানের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে রাজার মাঠে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় পাহাড়ের ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা নানা সাজে সজ্জিত হয়ে অংশগ্রহণ করে।
এসময় রাজার মাঠে পাবর্ত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যন ক্য শৈ হ্লা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বান্দরবান রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারল মো. জিয়াউল হক।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিজয়ের মাসের আজকে এ দিনে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। আমরা মনে করি, যেহেতু এ বিজয়ের মাসে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাই আমাদের বিজয় আসবেই। তারা বলেন, টকশোতে দেখা যায় শান্তি চুক্তির এতগুলো ধারার বাস্তবায়ন হয়েছে আর এতগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু তারা নিজেরাও কোনটি বাস্তবায়ন হয়নি তা দেখাতে পারেনা। তারা আরো বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে তালুকদার পাড়ায় একজনকে গুলি করে মারা হয়েছে। এ দায়ভার কে নিবে? সবসময় সমঝোতা হয় দু’পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে। একপক্ষ সমঝোতা করলে হবেনা। তারা বলেন, পার্বত্য এলাকায় আমরা আর অশান্তিতে থাকতে চাইনা। আমরা আর কোন স্বজনকে হারাতে চাইনা। আমরা এখানে শান্তি চাই।
এসময় তার পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আখতার উস সামাদ রাফি, লে. কর্নেল মোহাম্মদ মঈনুল হক, সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে গরীব অসহায় দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও ৭ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের উদ্যোগে বিনামূল্য চক্ষু শিবিরের আয়োজন করা হয়।
এদিকে বান্দরবানের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস শান্তি চুক্তির ২যুগ পূর্তিতে কোন অনুষ্ঠান করেনি।