নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
বান্দরবানের রুমা সড়কের দৌলিয়ান পাড়ায় পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় ৩জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও এখনো ২জন নিখোঁজ রয়েছে। সর্বশেষ ঘটনাস্থল থেকে ৬ কিলোমিটা দুরে রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়ায় এলাকায় সাঙ্গু নদীতে মেলে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দীর গলিত দেহ। পোস্ট মাস্টার জবিউল হোসেন এবং কিশোরী চিং মে প্রুর এখনও সন্ধান মিলেনি। তবে ঘটনার দিন অজ্ঞাত তিন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানালেও তার সত্যতা মেলেনি।
গত ২৩ জুলাই সকালে ঘটনাস্থলের থেকে ২ কি.মি দুরে ঝিড়িতে পাওয়া যায় কিশোরী চিং মে হ্লার মরদেহ। এর দুই দিন পর চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে সাঙ্গু নদীতে পাওয়া যায় স্বাস্থ্য সহকারি মুন্নী বড়ুয়ার মরদেহ। এ ঘটনার ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়ায় মিলে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দীর গলিত দেহ।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ৬ কিলোমিটার দুরে সাঙ্গু নদীর বালুচরে মাটি চাপা পড়া অবস্থায় তাকে দেখতে পান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে রাতে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ গলিত ওই মরদেহ উদ্ধার করে। গৌতম নন্দীর স্বজনরা রাতেই তার লাশ শনাক্ত করেছেন।
স্থানীয় পরিবহন সূত্রে জানাযায়, ওই বাসের ২৫জন যাত্রীর ১৭জনই পায়ে হেঁটে নিরাপদে রাস্তার ভাঙ্গন অংশ পার হয়। কিন্তু পাহাড় ধ্বসের শিকার হন ৩ নারীসহ আটজন।
এঘটনায় মাঠি চাপা পড়ে আহত হন মিনঝিরি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্ত রঞ্জন চাকমা, এনজিও কর্মী অং থোয়াই মারমা এবং গাড়ির হেলপার রুবেল চাকমা।
এদিকে টানা ৬ দিন উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন সেনাবাহিনী প্রকৌশল শাখা। আর নিখোঁজ পোস্ট মাস্টার জবিউল হোসেন এবং কিশোরী চিং মে প্রুর খোঁজে তাদের স্বজনরা অপেক্ষায় আছেন।