parbattanews

বান্দরবানে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ইউ কেচিং বীর বিক্রমের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে মধ্য দিয়ে বান্দরবানের উদযাপিত হয়েছে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রমের ৯১তম জন্মবার্ষিকী।

রবিবার (১৮ জুন) বিকালে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট অডিটোরিয়ামে কেক কেটে ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।

এ সময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বান্দরবান জেলা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট ও পার্বত্য জেলা পরিষদ যৌথভাবে এই আয়োজন করা হয় ।

এর আগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অডিটোরিয়ামে প্রাঙ্গণে ৯১টি বেলুন ও শান্তি প্রতীক পায়রা উড়িয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা।

অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট বিষয়ক কনভেনিং আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য সিং ইয়ং ম্রো সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।

এ সময় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকেচিং বীর বিক্রম সহধর্মিণী ড. থুই সানু মারমা।

বক্তব্যে ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বর্তমান সরকার গ্রীন নিবাস নামে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তৈরী করে দিচ্ছে। কিন্তু এখনো সকল মুক্তিযোদ্ধারা আওতায় না আসাতেই সেটি এখন চলমান রয়েছে। তাছাড়া বান্দরবানের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রমের নামে স্টেডিয়ামের জাতীয় সংস্করণভাবে নামকরণের জন্য ভাবে ক্রিড়া মন্ত্রণালয় কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে সেটি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।

অনুষ্ঠান শেষে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকেচিং বীর বিক্রম সহধর্মিণী ড. থুই সানু মারমাকে বীর বিক্রমের ফ্রেমবন্দী ছবি স্মৃতিস্বরুপ উপহার তুলে দেন প্রধান অতিথি।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর, শাহ আলম, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মো. শফিকুল রহমান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটে পরিচালক মংনুচিং মারমাসহ মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, উক্য চিং বা ইউ. কে. চিং মারমা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একমাত্র উপজাতি বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করেন। তিনিই এদেশের একমাত্র বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত উপজাতি মুক্তিযোদ্ধা।

Exit mobile version