parbattanews

বান্দরবানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্দেহে আবারো সেই দুই ব্যক্তিকে আটক

জমির উদ্দিন:

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন থেকে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্দেহে আটক দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার একদিন পর আবারো আটক করেছে বিজিবি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশের কাছ থেকে বিজিবির কাছে নেয়া হয়েছে। গত বুধবার উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা গুরাইন্নার কাটা থেকে বিজিবি শরিফুল ইসলাম (৪৫) ও জিয়াউল হক নামের দুইজন সন্দেহভাজনকে আটক করে। তারা ওই এলাকায় রহমনিয়া ইসলামী এইড নামের মায়ানমারের একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার নাম দিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাহায্য বিতরণ করছিল।

ওই দুই ব্যক্তিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই দিন রাতে স্থানীয় এক লোকের জিম্মায় ছেড়ে দেয় বিজিবি। পত্র-পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ প্রকাশের পর পরই বিজিবি ওই দুই ব্যক্তিকে পুনরায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শুক্রবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে বিজিবি আবারো তাদের পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে নেয়।

নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবির কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় রহমানিয়া ইসলামী এইড নামের সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মায়ানমারভিত্তিক রোহিঙ্গা সংগঠনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বেশ কিছু প্রমান পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, আটককৃদের মধ্যে জিয়াইল হক মাযানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরএসওর এক সময়য়ের জঙ্গি নেতা মো. সেলিরমের ছেলে। এছাড়া শফিকুল ইসলামের বাবা মাওলানা সুলাইনমান জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্তা রয়েছে। ঘটনার সময় পালিয়ে যাওয়া অপর দুই জন জাকারিয়ার ছেলে মফিজুদ্দিন ও আতাউল্লাহ রোহিঙ্গা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে পুনরায় আটক নিয়ে জনমনে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

Exit mobile version