parbattanews

বান্দরবানে মাদক ব্যবসার নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন

বান্দরবানে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ নানান মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মো. জাফর আলম প্রকাশ। মাদক ব্যবসার নিরাপত্তাসহ প্রশাসনকে নজরদারিতে রাখতে তার এলাকার বিভিন্ন অলিতে গলিতে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

জানা যায়, বান্দরবান জেলা শহরে ৯০ দশক থেকে হেরোইন, ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ নানান ধরনের মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল বান্দরবান পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ড আর্মি পাড়ার বাসিন্দা মো. জাফর আলম। বিভিন্ন মাদকের মধ্যে তিনি পাইকারি ও খুচরা মুল্যে ফেন্সিডিল বিক্রি করতো বলেই তিনি সবার কাছে এক নামে ডাইল জাফর হিসাবে পরিচিত। এই অবৈধ মাদক ব্যবসা চালাতে গিয়ে তিনি বহুবার পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলও খেটেছেন। তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা হয়েছে ফেন্সিডিল ও হেরোইনসহ নানান ধরনের মাদক। অবৈধ মাদক ব্যবসা চালিয়ে বর্তমানে তিনি কয়েকটি গাড়ি, জমি, নগদ টাকাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

মাদক ব্যবসায়ী জাফর নিজের অবৈধ মাদক ব্যবসাকে নিরাপদ গড়ে তোলতে নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে। তার মাদক ব্যবসার সুরক্ষায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নজরদারিতে রাখতে আর্মি পাড়ায় তার বাসার আশেপাশে এবং বিভিন্ন অলিতে গলিকে বসানো হয়েছে ৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা। তিনি এই সিসিটিভির ক্যামেরার মাধ্যমে বাসায় বসে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গতিবিধি খুব সহজে নজরদারি রেখে আরামে ও নিরাপদে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

আর্মি পাড়ার বাসিন্দা মো. শাহ আলম,আব্দুল জলিল, সেন্টু মিয়া ও মো. আবুল বাসারসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ডাইল জাফর নামে এই মাদক ব্যবসায়ীর কারণে পুরো পাড়ার লোকজন অতিষ্ঠ। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে বাসায় বসে ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ নানান মাদক বিক্রির করে পাড়ার সুনাম নষ্ট করে ফেলেছে। হাতের নাগালে মাদক পেয়ে পাড়ার অনেক যুবক নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি নিজের মাদক ব্যবসাকে নিরাপদে রাখতে এবং পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে তার বাসায় যাওয়ার অলিতে গলিতে এবং বিভিন্ন স্থানে অনেক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে। তারা এই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামরা করেন।

এ ব্যাপারে মাদক ব্যবসায়ী মো. জাফর আলম প্রকাশ ডাইল জাফর নিজেকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নয় মর্মে দাবি করে বলেন, পাড়ায় বিভিন্ন সময় চুরির ঘটনা ঘটে। চোর সনাক্ত করতে তিনি এই সিসিটিভি ক্যামোরা লাগিয়েছেন।

বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার নজরে এসেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version