নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানে মারমা কিশোরীর ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট’স কাউন্সিল (বিএমএসসি)।
সোমবার বিকালে বিএমএসসি বান্দরবান জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
বিএমএসসি বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি লুসাইমং মারমার সভাপতিত্বে সভায় বান্দরবান সরকারি কলেজ শাখার নেতৃবিন্দরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার শপথদীপ্ত সৈনিকেরা দিনে সম্প্রীতির কথা বলেন, আর রাতের বেলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নারী ইজ্জত লুটতরাজ করেন। তারা এ ঘটনার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিআকর্ষণ করেন।এক সপ্তাহের মধ্যে সকল দোষীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন অন্যতাই কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা। তারা অবিলম্বে ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী করেন এবং নিন্দা জানান।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে যুবলীগের বান্দরবান জেলা শাখার আহ্বায়ক আকবর হোসেনের স্বাক্ষরিত প্যাডে লিখেছেন ধর্ষণের ঘটনায় আটক কাজল বড়ুয়া অতীত বা বর্তমানের কমিটিতে নেই বলে উল্লেখ করেন এবং যুবলীগের সাথে সংলিষ্টতা নেই বলে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মিছিল সমাবেশ করেছে।
অন্যদিকে ২৬ নভেম্বর বান্দরবান শহরের সরকারী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই পাহাড়ী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বিদ্যালয়টির দপ্তরি অংথুই প্রু মারমা আটক করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় পাবর্ত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কোন রাজনৈতিক সংগঠন বা বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট’স কাউন্সিল (বিএমএসসি) ধর্ষক অংথুই প্রু মারমা’র শাস্তির দাবী করে মিছিল সমাবেশ না করাই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
প্রসঙ্গত: রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মারমা সম্প্রদায়ের কিশোরী শুক্রবার বান্দরবানে রাজপুণ্যাহ মেলায় বেড়াতে আসে। বালাঘাটা-বান্দরবান সড়কে প্রস্তাবিত শিশু পার্ক এলাকায় তার প্রেমিককে গলায় ছুরি ধরে ৪জন বখাটে কিশোরিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে কিশোরী বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।