parbattanews

বান্দরবানে লকডাউনের মধ্যেও বেড়েছে করোনার প্রকোপ

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশের মতো বান্দরবানেও চলছে কঠোর লকডাউন। আর এই বিধিনিষেধের মধ্যেই কয়েকগুণ বেড়েছে করোনার প্রকোপ। গত পাচঁদিনে বান্দরবানে ২০৪ জনের এন্টিজেন ও আরটি পিসিআর পরীক্ষা করে করোনা পজেটিভ হয়েছে মোট ৫০জন।

প্রশাসনের বিশেষ পদক্ষেপ ও কঠোর লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত জুন মাসে ২৩ দিনের পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছিল ৭৮ জন। বিশেষ করে জুন মাসের শেষের দিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। জেলা সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি মাসে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। এইদিন ৫৩জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২জন পজিটিভ হয়েছে। এরআগে গত তিনদিনে যথাক্রমে করোনা পজেটিভ হয়েছে ১৪জন, ৫জন, ৫ জন। করোনাকালীন সময়ে বান্দরবানে মোট ৭হাজার ৮১৫জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে করোনা পজেটিভ হয়েছে ১হাজার ১৪৪জনের। সরকারী হিসেবে এই পর্যন্ত মারা গেছে ৫জন।

এদিকে সরকারী বিধি নিষেধ শুরু হওয়ার দিন থেকে বান্দরবানে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। জেলা শহরের পর্যটন কেন্দ্র ও হোটেল মোটেলগুলো তার আগ থেকে বন্ধ রয়েছে। পন্যবাহি যানবাহন ও রিক্সা ছাড়া দূরপাল্পার সবধরনের পরিবহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরে প্রবেশের মূল ফটক রেইচা চেকপোস্টসহ স্বর্ণমন্দির এলাকায় কড়াকড়ি আরোপ রেখেছে আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা।

জানতে চাইলে বান্দরবান সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় বান্দরবানের প্রত্যেক উপজেলায় করোনা রোগীর অক্সিজেন সংক্ষমতা রয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত চিকিৎসক। জনসংখ্যা ও পরিস্থিতির তুলনায় আমরা এখনো অনেক ভালো রয়েছি। পাশের অন্যান্য জেলায় এর প্রকোপ অনেক বেশি। বাইরের পর্যটক না আসায় এখানকার মানুষ অনেক নিরাপদে রয়েছে। এরপরও সকলকে সরকারী বিধিনিষেধ মেনে ঘরে থেকে এবং, নিয়মিত মাষ্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।

Exit mobile version