নিজস্ব প্রতিনিধি:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বান্দরবানে উপেন্দ্র লাল দাশ এবং শৈলবালা দাশ এর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লীলাকীর্ত্তন, ধর্মসম্মিলন ও অষ্ট প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবান রাজার মাঠে চট্টগ্রামের তুলসীধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ প্র্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করার মধ্য দিয়ে অষ্ট প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের উদ্বোধন করেন।
এসময় বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ মৎ স্বামী অভেদানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, শ্রীল রাধা বিনোদ মিশ্র গুরু মহারাজ, শ্রীমান স্বাক্ষী গোপাল কৃষ্ণ দাশ, বান্দরবান কেন্দ্রীয় মন্দিরের পুরোহিত বাবুল চক্রবর্ত্তী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশসহ উপেন্দ্র লাল দাশ এবং শৈলবালা দাশ এর পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সনাতনী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতন ধর্মালম্বী নারী পুরুষেরা উপস্থিত হয়ে এই মহানামযজ্ঞে অংশ নেয়।
এসময় চট্টগ্রামের তুলসীধাম ও ঋষিধাম বাঁশখালীর মোহন্ত মৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ প্র্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর বিশ্ব শান্তি ও জগতের মঙ্গল কামনায় শুরু করা হয় লীলা কীর্ত্তন। রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ধর্মীয় সম্মিলন আর ১লা মার্চ ব্রাহ্মমুহূর্তে মহানামযজ্ঞের শুভারম্ব ও অহোরাত্র নাম সংকীর্ত্তন আর দুপুর ও রাতে আনন্দবাজারে চলবে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
আগামী ২রা মার্চ ব্রাহ্মমুহুর্তে নগর পরিক্রমা ও মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতির মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এই লীলাকীর্ত্তণ, ধর্মসম্মিলন ও অষ্ট প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের সমাপ্তি হবে।