জমির উদ্দিন, বান্দরবান:
বিতর্কিত পার্বত্য চট্রগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনী প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ও পাস করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ৭২ ঘন্টা হরতালের দ্বিতিয় দিনে গতকাল বুধবার বান্দরবানে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হয়েছে। বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ টানা ৭২ ঘন্টার ডাকা হরতালের ডাক দেয়।
বান্দরবানে ভোর থেকে বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয় এবং টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং করে। সকাল থেকে বান্দরবানে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। হরতালের কারণে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। এদিকে বান্দরবান-কেরাণীহাট-চট্টগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি-বান্দরবান সড়কে পিকেটারা অবস্থান নেওয়ায় সারাদেশের সাথে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়া সদর উপজেলার সুয়ালক, মেঘলা, বালাঘাটা এলাকায়ও পিকেটিং করতে দেখা গেছে। তবে সকাল থেকে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাঙ্গালী নেতারা জানান, গত ১৬ জুন বিতর্কিত পার্বত্য চট্রগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনী প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হওয়ায় বাঙ্গালীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। গত ২৭ মে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রী সভায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই সংশোধনী প্রস্তাবের কারণে পার্বত্য এলাকায় ভুমি নিয়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও রক্তক্ষয়ী সংঘাতের আশংঙ্খা দেখা দিয়েছে।
সরকার পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্টা করার লক্ষে সংশোধনী প্রস্তাব বাতিল করে পাহাড়ী-বাঙ্গালী নেতাদের সমন্ময়ের মাধ্যমে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি আইন প্রনয়নের দাবী জানিয়েছেন।
হরতালের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে পার্বত্য জেলার বাসিন্দা ও পর্যটকরা।