বান্দরবানে সড়কে চলছে নৌকা

Bandarban pic- 20.8

স্টাফ রিপোর্টার:
চলতি বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ীঢল ও বন্যায় চতুর্থবারের মত প্লাবিত হয়েছে বান্দরবানের নিন্মাঞ্চাল। এবারের বন্যায় পাহাড়ি জেলার প্রধান প্রধান সড়ক পরিণত হয়েছে নদীতে। ডুবে যাওয়া সড়কগুলোতে চলছে নৌকা। পাকা সেতু-বেইলি ব্রিজর অ্যাপ্রোচ সড়কগুলো রূপ নিয়েছে খেয়াঘাটে। যানবাহন নয়, জলযাননির্ভর এখন বান্দরবান জেলা সদরের জনজীবন।

এদিকে উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে বান্দরবান জেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ২ দিনের টানা বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে শতাধিত পাহাড় ধস হয়ে সাজিদ হোসেন নামে এক শিশু নিহত ও ৪জন আহত হয়েছেন। টানা বর্ষণে বান্দরবান কেরেনির হাট প্রধান সড়কের বড়দুয়ারা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে প্লাবিত হয়ে বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্বর্ণ মন্দির সংলগ্ন পুল পাড়ায় বেইলি ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির সঙ্গেও বান্দরবানে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এছাড়া কমপক্ষে ৩/৪ ফুট পানির নিচে ডুবে আছে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের স্বর্ণমন্দির সংলগ্ন এলাকা এবং বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের রামজাদি মন্দির এলাকার বেইলি ব্রিজ। বান্দরবান রুমা-থানছি সড়কও যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, অপেক্ষাকৃত উঁচু আর্মিপাড়ার এখন কোনো কোনো এলাকা ৫ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে। বহুতল ভবনের নিচতলা ডুবে একাকার। বাজার-কর্মস্থলে যেতে সাঁতরে পার হতে হচ্ছে। এ এক জলবন্দি জীবন!

বানের পানিতে ডুবে গেছে পৌর শহরের প্রধান প্রধান আবাসিক এলাকা আর্মি পাড়া, মেম্বারপাড়া, ইসলামপুর, শেরে বাংলা নগর, অফিসার্স ক্লাব ও সওজ এলাকাসহ আশপাশের সব জনপদ। ডুবে গেছে অফিসার্স ক্লাব, এবং লামা উপজেলার পরিষদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা, বাজার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪/৫ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে। এসব এলাকার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের যানবাহন চলাচল করলেও সন্ধ্যা বাজালিয়ার বড়দুয়ারা এলাকায় সড়কে পানি উঠে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাস্তার উভয় পাশে আটকে পড়ে শতাধিক যানবাহন। আর ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পর্যটকরা।

বান্দরবান পূরবী পরিবহনের ম্যানেজার মহসিন জানান, সকাল থেকে গাড়ি চালু থাকলেও বিকেলে বড়দুয়ারা এলাকার সড়ক প্লাবিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন